হঠাৎ উত্তপ্ত শাবি, ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর

13

শাবি থেকে সংবাদদাতা :
হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের রাজনীতি। ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য গত দুই দিন ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্র“প ক্যাম্পাসে শোডাউন দিয়েছে। এরই মধ্যে রাকিবুল হাসান মিলন (২৪) নামে এক ছাত্রলীগকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ গ্র“পের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জুন তলায় রাকিবুল হাসান মিলনকে কিল, ঘুষি এবং চড়-থাপ্পড় মারে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানের অনুসারীরা। পরবর্তীতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাকিবুল হাসান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দের অনুসারী এবং বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।
ক্যাম্পাস ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, গত বছর একটি মারামারির ঘটনায় আবু সাঈদ আকন্দের অনুসারী ও আরও একটি গ্র“পকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয় প্রতিপক্ষ গ্র“পের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সম্প্রতি আবু সাঈদ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগে সহ-সভাপতির পদ পেলে তার অনুসারীদের আবার ক্যাম্পাসে প্রবেশের সম্ভাবনা দেখা দেয়। গত রবিবার (২১ জুলাই) আবু সাঈদ সিলেটে আসার পরপরই উত্তপ্ত হয়ে উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি। ক্যাম্পাসে অবস্থানকারী বিভিন্ন গ্র“প সাঈদ গ্র“পকে ঠেকানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ও প্রধান ফটকে শোডাউন দেয়।
মারধরের বিষয়ে রাকিবুল হাসান মিলন বলেন, ‘ক্লাস থেকে বের হওয়ার পর সাদ্দাম হোসেন লিখন, সজিবুর রহমান, রোহিতুজ্জামান নাজমুল, মনোয়ার হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মাসউদ, সাজ্জাদ হোসেন, মুন, তন্ময়, অমিতসহ ৮/৯ জন সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানের অনুসারী হামলা চালায় এবং পাইপ দিয়ে মারধর করে।’ মিলন আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি আসতে চাইলে তারা গাড়ী আটকিয়ে আমাকে বাঁধা দেয় এবং তারা বলেছে, প্রক্টর স্যার তাদেরকে বলেছেন প্রক্টর অফিসে আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এদিকে আমি সেন্সলেস হয়ে যাচ্ছি আর তারা আমাকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যেতে চাচ্ছিল।’
ছাত্রলীগের কর্মীকে মারধরের বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান বলেন, ‘মারধরের ঘটনাটি আমি শুনেছি। আমি সত্যতা খতিয়ে দেখছি।’
এ বিষয়ে প্রক্টর জহির উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘একজনকে মারধরের ঘটনা আমি শুনেছি। তবে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আমি জানি না। মিলনকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসার জন্য আমি কাউকে বলেনি। কারা মারধর করেছে তা আমি জানি না। সে যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’