দক্ষিণ সুরমায় নিখোঁজের ৩ দিন পর পুকুর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

19

স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম ইউনিয়নের গোয়ালগাঁও থেকে নিখোঁজের ৩ দিন পর রহস্যজনক ভাবে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে সিলাম গোয়ালগাঁওর একটি পুকুর থেকে ঐ লাশটি উদ্ধার করে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা আরো জানান, নিহত ঐ যুবক সিলাম ইউপি’র গোয়ালগাঁও গ্রামের আব্দুল নুরের পুত্র কামরান আহমদ (২৬)। সে গত বুধবার নিখোঁজ হয়। আর শুক্রবার সকালে তার বাড়ির পুকুরে লাশ ভেঁসে উঠে।
উদ্ধারকৃত লাশের পরিবার সূত্র জানায়, গত বুধবার বিকেলে কামরানের সাথে কথা হয় তার ভাইয়ের। এরপর রাতে আর দেখা হয়নি। পরদিন কামরানের কক্ষে গিয়ে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর পর থেকে কামরান নিখোঁজ ছিলেন। শুক্রবার সকালে কামরানের লাশ তার নিজ বাড়ির পুকুরে ভেঁসে উঠে। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয়রা মিলে পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের সময় লাশের মুখে, নাকে ও গলায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান নিহতের পরিবারের লোকজন। লাশটি উদ্ধারের পর মোগলাবাজা থানা পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালের প্রেরণ করেন।
সিলাম ইউনিয়রের চেয়ারম্যান ইকরাম হোসেন বখত জানান, গোয়ালগাঁওয়ে পুকুরে কামরান নামের এক যুবকের লাশ পাওয়া গেছে বলে তার কাছে সংবাদ আসে। তাৎক্ষনিক তিনি ঘটনাস্থলে যান এবং তিনি ও স্থানীয়দের সামনে পুলিশ পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করেন।
মোগলাবাজার থানার ভারপ্র্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আখতার হোসেন জানান, সিলাম ইউপি’র গোয়ালগাঁও গ্রামে নিজ বাড়ীর পুকুরে এক যুবকের লাশ দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তিনি আরো জানান, নিতের ভাই তাদেরকে জানিয়েছেন সর্বশেষ বুধবার ১০ জুলাই কামরানের সাথে তাদের কথা হয়েছে। এরপর থেকে কামরান নিখোঁজ ছিলেন। ওসি আরো জানান, উদ্ধারকৃত লাশের শরিরে যে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তা হয়তো পুকুরে পড়ে যাওয়ার পর পাথর, গাছের ডাল বা বাঁশের সাথে আঘাত লেগে এমন হতে পারে। তবে এ ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে। বর্তমানে থানায় অপমৃত্যু মামলা দাখিল করা হয়েছে।