স্পেনে গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, দুই জনের মৃত্যু

14

স্পেন থেকে সংবাদদাতা :
স্পেনে তাপদাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। শুক্রবার (২৮ জুন) স্থানীয় গণমাধ্যম ‘এল পাইস’ এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, চরম গরমে গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ও শুক্রবার (২৮ জুন) দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর (আয়মেট) সাতটি প্রদেশে সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে। এছাড়াও অন্য ১৯ প্রদেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি রয়েছে। তাপদাহের কারণে জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
‘এল পাইস’ এর প্রতিবেদনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার স্পেনের দক্ষিণাঞ্চলের শহর কর্দোভায় সকালে মাঠে কাজ করা অবস্থায় ১৭ বছর বয়সী একজন যুবক গরমে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় রেইনা সোফিয়া হাসপাতালে নেয়া হয়। শুক্রবার ভোরে সে মারা যায়। স্পেনের উত্তর পূর্ব কাস্তিয়া ও লিয়ন অঞ্চলের ভায়াদলিদে ৮০ বছর বয়সী একজন বৃদ্ধ গরমে মৃত্যুবরণ করেছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে ‘এল পাইস’ আরো জানায়, দেশটির সাতটি প্রদেশ ওয়েছকা, ছারাগোছা, বার্সেলোনা, জিরোনা, লেইদা, নাভাররে ও লা রিয়োখায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। শনিবার ও রবিবার স্পেনের কোথা কোথাও সর্বোচ্চ ৪৪ ডিগ্রী তাপমাত্রা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। গরমজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। তাছাড়া স্থানীয় ডাক্তারের কাছেও পরামর্শ নিতে আসা মানুষের সংখ্যাও কম নয়। ডাক্তাররা এ গরমে প্রচুর পানি পান করা, হাল্কা কাপড় পরিধান করা, রাতের খাবারে সালাদ রাখা, প্রয়োজনে স্যালাইন পান করা, খুব ঠান্ডা পানিতে গোসল না করে হাল্কা গরম পানিতে গোসল করাসহ নানা পরামর্শ দিচ্ছেন।
স্পেনে এখন স্কুল কলেজে সামার ভেকেশনের ছুটি চলছে। এ গরমে ভেকেশন কাটানোর জন্য পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকেই ছুটছেন অন্য শহরে, যেখানে তাপমাত্রা সহনশীল পর্যায়ে রয়েছে। স্পেনে এমন কয়েকটি স্থান হচ্ছে- পুয়েবলা দে লিও(লিওন) জুমাইয়া (পাইস বাস্কো) সেরসেডিয়া (মাদ্রিদ), সাইয়ন দে গাইয়েগো, কনগাস ডেল নারসিয়া (অস্টুরিয়াস), মলিনা ডেল আরাগন, এস্কারাই লা রিয়োখা।
প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এ গরমে আছেন অস্বস্থিতে। কর্মক্ষেত্রে গরমের কারণে সঠিকভাবে কাজে মনোনিবেশ করা দুষ্কর হয়ে পড়ছে। ব্যবসাক্ষেত্রেও ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। মাদ্রিদে বাংলাদেশি রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, এ গরমে কেউ খুব জরুরি প্রয়োজন না পড়লে ঘর থেকে বের হচ্ছে না। আর লোকজন যদি ঘর থেকে না বের হয়; তবেতো ব্যবসায় বিরূপ প্রভাব পড়বেই।