গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা :
গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং পাথর কোয়ারীর জিরো পয়েন্ট ও ভারতীয় অভ্যন্তর থেকে পাথর আনতে গেলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র গুলিতে ৩ পাথর শ্রমিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় বিএসএফ একটি পাথরবাহী নৌকাও নিয়ে যায়।
আহরা হলেন, জাফলং রহমতপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মো. আব্দুর রহমান (২৭), একই গ্রামের হবি মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম(৩০), মোহাম্মদপুর গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন (৩৫)। অভিযোগ উঠেছে, গ্রেফতার কিংবা আইনি জটিলতা এড়াতে গুলিবিদ্ধ এসব পাথর শ্রমিকরা সরকারী কিংবা স্থানীয় কোন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে বিজিবির পক্ষ থেকেও স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছেনা। গত শনিবার রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
শ্রমিক সূত্রে জানা যায় যে, জাফলং পাথর কোয়ারীর জিরো পয়েন্ট এবং ভারতীয় অভ্যন্তরে বিপুল পরিমান পাথর মজুদ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বিজিবি এবং পুলিশের নিযুক্ত একাধিক দালালদের মাধ্যমে নৌকাপ্রতি ১২০০-১৫০০টাকা বখরা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জিরো পয়েন্ট পেরিয়ে ভারত অভ্যন্তর থেকে পাথর আহরন করতে যায় খেটে খাওয়া শ্রমিকরা। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংগ্রাম সীমান্ত ফাঁড়ির ক্যাম্প কমান্ডার বাবুল আহমদ এবং এফএস’র সদস্য বাদল মিয়া বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে তামাবিল কোম্পানী কমান্ডার হুমায়ন কবির জানান, বিষটি আমি শুনেছি কিন্তু বিস্থারিত জানতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যোগাযোগের পরামর্শ দেন। বক্তব্যের জন্য বিজিবি ৪৮ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং কর্মকর্তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল জানান, সীমান্তে পাথর উত্তোলনকালে বিএসএফ কর্তৃক গুলি বর্ষনের খবর শুনেছি। তবে আহতদের কোন তথ্য আমার কাছে নেই।
