বিশ্বনাথে কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা

9

বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
পাপিয়া আক্তার পপি (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্রী রান্নাঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে নিজ ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ছাতক সরকারি কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া পপি বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের দিঘলী খোজারপাড়া গ্রামের আলী রহমানের মেয়ে। গতকাল শনিবার সকাল ১১টারদিকে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের এসআই শফিকুল ইসলাম লাশ উদ্ধার করেছেন। পরে ময়না তদন্তের জন্য দুপুর ২টারদিকে তার লাশ সিলেট ওসমানী মেডকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানা পুলিশের এসআই শফিকুল ইসলাম। পরিবারের পক্ষ থেকে অপমৃত্যু মামলা দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে জিডি মূলে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছেন।
জানা গেছে, হবিগঞ্জের বাসিন্দা পপির পরিবার ছাতক মন্ডলীভোগে দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করে আসছিল। বর্তমানে তারা বিশ্বনাথের দীঘলী খোজারপাড়ার জমির আলীর বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছেন। শনিবার ভোররাতে পপির বড়বোন পানি পানের উদ্দেশ্যে রান্নাঘরে যেতে চাইলে রান্না ঘরের দরজা বন্ধ পান। অন্যদিকে পপিকেও খোঁজে না পাওয়ায় অবশেষে পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে রান্নাঘরে প্রবেশ করেন। এ সময় রান্নাঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচানো ঝুলন্ত অবস্থায় পপিকে দেখতে পান। পরে পুলিশে খবর দিলে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এব্যাপারে পপির বড়ভাই মোশাহিদ আলী বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন, মামলা নং ১৭/১৯ইং।