কমলগঞ্জের ভানুগাছ ও শমসেরনগর স্টেশনের যাত্রীদের দুর্ভোগ, পর্যটন স্পটগুলো ফাঁকা

42
শমসেরনগর রেল ষ্টেশনের চিত্র। প্রতিদিন এ সময়ে সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য ষ্টেশনে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় থাকলেও গতকালের চিত্র ছিল ভিন্ন।

পিন্টু দেবনাথ কমলগঞ্জ থেকে :
সিলেট-আখাউড়া রেলওয়ে সেকশনের মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বরমচাল এলাকায় রবিবার মধ্যরাতে ঢাকাগামী আন্ত:নগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের কয়েকটি বগি কালভার্ট থেকে সিটকে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে সিলেটের সাথে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে। তবে ঢাকা-সিলেট সড়কপথ বন্ধ থাকায় রেলপথে যাত্রীদের ভিড় বাড়লেও দুর্ঘটনার পর থেকে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। দুর্ঘটনার পর কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছ ও শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশনে উপবন ট্রেনের টিকেট ফেরত দিয়েছেন যাত্রীরা। সোমবার স্টেশন সমুহে যাত্রীদের উপস্থিতি দেখা যায়নি। প্রশ্নের উত্তরে জর্জরিত বাকবিতন্ডায় স্টেশন মাষ্টাররা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেকসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রেও পর্যটকদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।
উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার পর সোমবার শমসেরনগর ও ভানুগাছ রেল স্টেশনে খেঁাঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা ও সিলেটগামী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। সোমবার রাতে দুর্ঘটনার পর থেকে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। পরে টিকেট ফেরত দিয়ে টাকা নিয়ে চলে যান। সড়কপথ ও রেলপথ বন্ধ থাকায় স্টেশনে যাত্রীরা এসে মাস্টারদের সাথে কথা বলে ফিরে যাচ্ছেন। মিডিয়ার লোকদের ও যাত্রীদের নানা প্রশ্নের জবাব দিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন স্টেশন মাষ্টাররা। কোন কোন সময়ে যাত্রীদের সাথে বাকবিতন্ডার ঘটনাও ঘটছে। তবে কুলাউড়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের কথা থাকলেও ঘটছে সিডিউল বিপর্যয়। ট্রেন আসবে কি-না, যথা সময়ে ছেড়ে যাবে কি না এসব নিয়ে কোন যাত্রী সঠিক কোন উত্তর পাচ্ছেন না। গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত লোকজন নানাভাবে সড়কপথে ভেঙ্গে ঢাকা, সিলেট যাচ্ছেন। রেল ও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় সোমবার মৌলভীবাজারের পর্যটন কেন্দ্র গুলোতেও পর্যটক শুণ্য ছিল। ট্রেনের সময়ে স্টেশন সমূহে যেখানে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায় সেখানে রয়েছে যাত্রী শূন্য স্টেশন।
রোববার রাতের ঢাকাগামী উপবন ট্রেনের যাত্রী আসাদ উল্ল্যা, নুরুল মোহাইমীন, রফিকুর রহমান, ফনী ভূষন দাস বলেন, আমাদের জরুরী কাজে ঢাকা যাওয়ার কথা থাকলেও সড়কপথ ও রেলপথে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে বেশি টাকা খরচ করে ও ভোগান্তি নিয়েও সড়কপথে ভেঙ্গে ভেঙ্গে যেতে হচ্ছে। শমসেরনগর স্টেশনেরর দু’জন যাত্রী বলেন, রোববার ট্রেন দুর্ঘটনার পর তারা টিকেট ফেরত দিয়ে টাকা নিয়ে চলে গেছেন।
শমসেরনগর স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার নাজমুল হক বলেন, কুলাউড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে আন্ত:নগর পারাবত এক্সপ্রেস যথাসময়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। তবে রাত পর্যন্ত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলে টিকেট বিক্রি শুরু হতে পারে বলে তিনি জানান।