মৌলভীবাজারে মাদ্রাসা ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ

21

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কাগাবলা ইউনিয়নে অথানগিরি গ্রামে পিতৃহীন এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১২) গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে দুজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। আসামীরা হলেন- একই এলাকার ৩ সন্তানের জনক ওয়াতির আলীর ছেলে জাহিদ মিয়া (৩০) ও মৃত রব্বান মিয়ার ছেলে খুরশেদ মিয়ার ভাইস্তা রাব্বি মিয়া (২৮)। ভিকটিম আথানগিরি আমেনা হুসাইন মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী।
ধর্ষিতার মা গতকাল শুক্রবার বলেন, গত শনিবার কিশোরী মেয়েকে দাদির কাছে রেখে আত্মিয়ের বাড়িতে রোগী দেখতে যান তিনি। ওইদিন গভীর রাতে দাদির পাশে ঘুমিয়েছিল ওই কিশোরী। এ সময় ধর্ষক জাহিদ মিয়া ও রাব্বি মিয়া টিনের বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে। তারা দাদি ও কিশোরীকে বেঁধে ফেলে। পরে ঘর থেকে বের করে উঠানে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। কিশোরী মেয়ে চিৎকার করতে চাইলে তার মুখ বেঁধে রাখা হয়। একপর্যায়ে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। কিশোরীর মা আরও বলেন, সারারাত তার অজ্ঞান মেয়ের শরীর থেকে রক্ত ঝরেছে। ভোররাতে যখন তার জ্ঞান ফিরে সে ঘরে ঢুকে দাদির বাঁধন খুলে তাকে (মা) কল দেয়। আর্তনাদ করতে করতে ওই কিশোরীর মা বলেন, আমার সোনা ময়না কিভাবে যে বেঁচে গেছে আল্লাহই জানেন! এই কুলাঙ্গারগুলা আমার কলিজার টুকরাকে এত কষ্ট দিল! আল্লাহ যেন এদেরকে ক্ষমা না করেন। আমি এই কুলাঙ্গরদের ফাঁসি চাই। বর্তমানে ওই মাদ্রাসা ছাত্রী মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আসামী রাব্বীর চাচা খুরশেদ মিয়া ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন। এছাড়া ধর্ষিতা মেয়ের পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকিও দেয়া হচ্ছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইমরান হোসেন গতকাল শুক্রবার বলেন, মেয়েটি ঘটনার দিন থেকে এখনো চিকিৎসা নিচ্ছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন শুক্রবার বলেন, খুবই খারাপ একটি ঘটনা ঘটেছে, আমরা আসামীকে ধরতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।