জাপানকে উড়িয়ে শুরু চ্যাম্পিয়ন চিলির

42

স্পোর্টস ডেস্ক :
অতিথি হিসেবে খেলতে যাওয়া এশিয়ার প্রতিনিধি জাপানকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে কোপা আমেরিকা ফুটবলে মিশন শুরু করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চিলি। মঙ্গলবার সকালে ব্রাজিলের সাওপাওলোতে অনুষ্ঠিত ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে ‘লা রোজা’দের হয়ে জোড়া গোল করেন এডুয়ার্ডো ভারগাস। একটি করে গোল করেন এ্যান্টোনিও পালগার ও এ্যালেক্সিস সানচেজ।
এই জয়ে ‘সি’ গ্রুপে উরুগুয়ের সঙ্গে যৌথভাবে এক নম্বরে অবস্থান করছে চিলি। দু’দলেরই ভা-ারে জমা ৩ পয়েন্ট করে। উরুগুয়েও তাদের প্রথম ম্যাচে ইকুয়েডরকে হারিয়েছে ৪-০ গোলে। জাপানের বিরুদ্ধে ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে সর্বশেষ দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন চিলি। এশিয়ার প্রতিনিধিরা যে খুব একটা পিছিয়ে ছিল তা কিন্তু নয়। তবে মহাদেশের বাইরের দলকে গোল করার কোন সুযোগই দিচ্ছিল না চিলির রক্ষণভাগ। ম্যাচের প্রথম ৪০ মিনিট সমানতালে খেলেছে জাপান। কিন্তু ৪১ মিনিটে গোল হজমের পর আর প্রতিরোধ গড়তে পারেনি তারা।
এ সময় সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার এ্যান্টোনিও পালগার হেডে লক্ষ্যভেদ করেন। কর্নার থেকে ভেসে আসা বল দারুণ হেডে জালে পাঠান তিনি। এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় চিলি। বিরতির পর চ্যাম্পিয়নদের সামনে কোন পাত্তাই পায়নি টাকেফুসা কুবো-ইয়ুতা নাকায়ামারা। ৫৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভারগাস। ডি বক্সের বাইরে থেকে তার নেয়া জোরালো শট খুঁজে নেয় জাল। গোলের দেখা পান ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তারকা ফুটবলার এ্যালেক্সিস সানচেজও। ৮২ মিনিটে হেড থেকে গোল করেন তিনি। পরের মিনিটেই জাপানের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা ভারগাস। ডি বক্সের বাইরে থেকে এই ফরোয়ার্ডের দুর্দান্ত এক চিপ গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে অতিক্রম করে গোললাইন।
এই গোলের মধ্যে দিয়ে বেশ কিছু রেকর্ড গড়েছেন ভারগাস। মার্সেলো সালাসকে পেছনে ফেলে ৩৮ গোল নিয়ে এখন চিলির হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। এছাড়াও কোপা আমেরিকায় চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন। চিলি তাদের পরের ম্যাচ খেলবে আগামী শনিবার ইকুয়েডরের বিপক্ষে। আর জাপান নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে আগামী শুক্রবার শক্তিশালী উরুগুয়ের বিপক্ষে। জাপানের বিরুদ্ধে পুরো ম্যাচে চোখ ধাঁধানো পারফর্মেন্স প্রদর্শন করে ম্যাচসেরা হয়েছেন চিলির সেরা তারকা সানচেজ। ম্যাচ শেষে সাবেক বার্সিলোনা ফরোয়ার্ড বলেন, আমাদের পারফর্মেন্স নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। প্রথম ম্যাচটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাতে আমরা সফল। ভাল লাগছে দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে।
তৃপ্ত চিলির কলম্বিয়ান কোচ রেনাল্ডো রুয়েডাও। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, প্রথমার্ধে আমাদের সংগ্রাম করতে হয়েছে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা আমাদের পরিকল্পনা মাফিক খেলতে পেরেছি। এ সময় ছেলেরা ইচ্ছেমতো খেলতে পেরেছি। আমি খুশি দলের পারফর্মেন্সে। অন্যদিকে জাপানী কোচ দ্বিতীয়ার্ধের পারফর্মেন্সে হতাশ। হাজিমে মরিয়াসু বলেন, প্রথমার্ধে ছেলেরা ভাল খেলেছে। কিন্তু বিরতির পর ছন্দটা ধরে রাখতে পারেনি। হারের ব্যবধান বড় হয়েছে। এখন আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করতে হবে। তবে কাজটা যে সহজ হবে না সেটা বলাইবাহুল্য। কেননা জাপানের পরের ম্যাচের প্রতিপক্ষ অন্যতম শক্তিশালী উরুগুয়ে।