সিনিয়র আইনজীবীদের সাথে অশালীন আচরণ, দুই জুনিয়রের সদস্য পদ স্থগিত

20

স্টাফ রিপোর্টার :
সিনিয়র আইজীবীদের সাথে অশালীন ও অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে ২ জুনিয়র আইনজীবীর সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে। তারা হলেন- একরামুল হাসান শিরু ও মাসুম বিল্লাহ চৌধুরী। চলতি বছরে তারা সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য পদ লাভ করেছেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে সিলেট চীফ মেট্রোপলিটন আদালতের এজলাস থেকে বেরিয়ে আসার সময় অশালীন আচরণের ঘটনা ঘটে এবং পরে আইনজীবী সমিতির জরুরি সভায় শিরু ও মাসুমের সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। তাদের কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবেনা, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
সূত্র জানায়, এপ্রিলে সদর উপজেলার মইয়ারচরে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আইনজীবী বুরহান উদ্দিন তার মামাতো ভাইদের বিরুদ্ধে তার উপর হামলার অভিযোগে জালালাবাদ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলায় তিনি ৪ জনকে আসামী করেছিলেন। এড. বুরহান বিষয়টি সিলেট আইনজীবী সমিতিকেও অবগত করেন। গতকাল সোমবার সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন আসামীরা। বিবাদী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এড. রেজাউল করিম। তার সহযোগিতায় ছিলেন এড. মাছুম বিল্লাহ চৌধুরী ও এড. একরামুল হাসান শিরু। শুনানী শেষে আদালত আসামীদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। উভয় পক্ষের আইনজীবীরা এজলাস ত্যাগ করার সময় বিবাদী পক্ষের জুনিয়র আইনজীবী এড. মাছুম বিল্লাহ চৌধুরী ও এড. একরামুল হাসান শিরুর বাদীপক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে অশ্লীল গালাগাল করতে থাকেন। এ সময় আদালত চত্বরে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।
বাদী পক্ষের আইনজীবীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরে সিলেট আইনজীবী সমিতির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ২ জুনিয়র আইনজীবীর সদস্য পদ স্থগিত করা হয় এবং তাদের আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার হবে না তার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সমিতির পরবর্তী সভায় বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে সিলেট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. হোসেন আহমদ জানান, একটি জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে বিবাদী পক্ষের আইনজীবীদের সাথে বাদী পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছে। এ সময় উত্তেজনা দেখা দিলে আমরা উভয় পক্ষকে নিবৃত করি। পরবর্তীতে কার্যকরী কমিটির সভায় ২ আইনজীবীর সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। তিনি আরো জানান, মামলাটির বাদী একজন আইনজীবী। তার উপর হামলার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে কর্মবিরতিসহ কর্মসূচী পালন করা হয় আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে। তবে কাউকে বিবাদী পক্ষে নিযুক্ত হতে নিষেধ করা হয়নি।