সংবাদ সম্মেলনে রাখাল চন্দ্রের অভিযোগ ॥ সামাজিকভাবে হেয় করতেই সীমানা পিলার চুরির অপবাদ দেওয়া হয়েছে

12

স্টাফ রিপোর্টার :
সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতেই তাদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ শাসনামলের সীমানা পিলার তুলে নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনাকান্দি গ্রামের রাখাল চন্দ্র দাশ। তিনি বলেন, হরিনাকান্দি গ্রামের কবিন্দ্র দাশ ও তার সহযোগীরা মিথ্যাচার করে এলাকায় বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে তারা সম্প্রতি সিলেটে সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের বিরুদ্ধে সীমানা পিলার চুরির অপবাদ দিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ কুচক্রী মহলের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আইননানুগ পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
রবিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে গ্রামবাসীর পক্ষে তিনি বলেন, ‘গত ১২ জুন সিলেট প্রেসক্লাবে হরিনাকান্দি গ্রামের কবিন্দ্র দাশ গং কর্তৃক সংবাদ সম্মেলন করে আমার আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে জগন্নাথপুরের মেঘারকান্দি ও রুপসা মৌজা এবং দিরাই উপজেলার ভাইটগাঁও মৌজার ব্রিটিশ শাসনামলের সীমানা পিলার তুলে নেয়ার অভিযোগ ও পুনঃস্থাপনের যে দাবি জানিয়েছেন তা মিথ্যা। এজন্য তিনি সত্য ঘটনা উদঘাটনে গ্রামবাসীর পক্ষে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরতে আজ সাংবাদিক সম্মেলন করছেন।’
তিনি কবিন্দ্র দাশ গং কর্তৃক মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘কবিন্দ্র দাশ গং দের সাথে ভূমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের থেকে তারা এমন মিথ্যাচার করছে। তিনি বলেন, এক বছর আগে তার ভাতিজা হীরা দাশ প্রবাস থেকে এসে তার মালিকানাধীন জায়গায় ঘর নির্মাণ করলে প্রতিবেশী রনেন্দ্র দাশ ও কবিন্দ্র দাশ বাধা দেন এবং ঘর উচ্ছেদে মরিয়া হয়ে উঠেন।
এ নিয়ে একাধিকবার দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে শান্ত হয়। ঘর উচ্ছেদ করতে না পেরে বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে আমাদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ সীমানা পিলার তুলে নেয়ার মিথ্যা নাটক সাজানো হয়েছে।
‘ওই সংবাদ সম্মেলনে আমার সাথে যাদেরকে অভিযুক্ত করা হয় তারা সবাই সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি। মনোরঞ্জন দাশ স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি। আমি নিজেও আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন কমিটির সদস্য ও রাজনৈতিক সামাজিক কর্মকান্ডে সক্রিয়। বাদল দাশ এলাকায় একজন সহজ সরল সমাজকর্মী হিসেবে পরিচিত। আমার ভাই গোপাল দাশ ও ভাতিজা গোপেন দাশ লিটন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হিসেবে পরিচিত’ বলেও যোগ করেন তিনি। তিনি এ মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আইননানুগ পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে হরিনাকান্দি গ্রামবাসীর আরও উপস্থিত ছিলেন- বাদল দাশ, গোপাল দাশ, মনোরঞ্জন দাশ, লিটন দাশ ও অজিত দাশ।