জিন্দাবাজারে যুবককে মারধর করা পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার, তদন্তের প্রস্তুতি

30
যুবককে মারধরের প্রতিবাদে জিন্দাবাজারে সড়ক অবরোধ।

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর জিন্দাবাজারে যুবককে মারধরের অভিযোগে উঠা ট্রাফিক পুলিশের এটিএসআই মাসুমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্তের প্রস্তুতি চলছে। দোষী প্রমাণ হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
গতকাল শনিবার বিকেল ৩টায় নগরীর জিন্দাবাজার পয়েন্টে দাড়িয়াপাড়া এলাকার ধরণী দাশের পুত্র একটি মডেল অ্যাজেন্সির মালিক ও পেশাদার মডেল এস ডি ইমন অটোরিকশা থেকে নামেন। এসময় কোতোয়ালী থানার এটিএসআই মাছুম সেখানে দায়িত্ব পলন করছিলেন। গাড়ি থেকে নামার সময় ইমন ও অটোচালককে গালাগাল শুরু করেন মাসুম। এমন অভিযোগ করেছেন ইমন। এক পর্যায়ে ইমনকে ধরে জগন্নাথ জিউর আখড়ায় নিয়ে মারধর করেন মাসুম।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়- শনিবার সাড়ে ৩টার দিকে জিন্দাবাজার পয়েন্টে রিকশা পার্কিং নিয়ে পুলিশের এটিএসআই মাছুমের সাথে এসডি ইমন নামে এক যুবকের বাকবিতণ্ডা হয়। এসডি ইমন নগরীর দাড়িয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে এটিএসআই মাছুমের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ইমনকে টেনে জিন্দাবাজার পয়েন্টের পাশ্ববর্তী জগন্নাথ জিউড় মন্দিরের ভেতরে নিয়ে যান। সেখানে তাকে বেধরক মারধর করেন পুলিশ সদস্যরা। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মন্দিরের ভেতরে ঢুকে ইমনকে ছাড়িয়ে আনেন। এসময় ইমনের মানিব্যাগও ছিনিয়ে নেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে ইমন তার তার আত্মীয় স্বজন ও পরিচিতদের খবর দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই একদল যুবক জিন্দাবাজার পয়েন্টে এসে সড়কের উপর অবস্থান নেন। তারা এটিএসআই মাছুমসহ সেখানে অবস্থানরত পুলিশ সদস্যদের ঘেরাও করে রাখেন। এতে ওই এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।
ঘটনার খবর পেয়ে কোতোয়ালী থানার সহকারী কমিশনার ইসমাইল হোসেন ও পরিদর্শক (তদন্ত) ছাহাবুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। এসময় এসি ইসমাইলের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন তারা। পরে তাদেরকে নিয়ে থানায় যান এসি ইসমাইল ও পরিদর্শক তদন্ত ছাবারুল।
এ ব্যাপারে এসি ইসমাইল হোসেন বলেন, আমরা ওই যুবকের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে সত্যতা পেলে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগ পাওয়ার পরপরই এটিএসআই মাছুমকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জেদান আল মুসা। তিনি আরো জানান, জিউর আখড়ার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মারধরের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে পুলিশ সদস্য মাসুমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।