ওসমানীনগরে ইউপি সদস্য কর্তৃক শ্লীলতাহানির শিকার বিচার প্রার্থী নারী

14

ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরে বিচার চাইতে গিয়ে ইউপি সদস্যের হাতে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন এক বিচার প্রার্থী নারী। এ ঘটনায় উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের বড় ইসবপুর গ্রামের জুবেল মিয়ার স্ত্রী জিনু বেগম ওসমানীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। এতে উমরপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বড় ইসবপুর গ্রামের আমিরুল ইসলাম সিকদারকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ দাখিলের পর থানা পুলিশ বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। আপোষে নিষ্পত্তির নামে ইউপি সদস্যের পক্ষ নিয়ে একটি মহল বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এছাড়া থানায় দাখিল করা অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য বাদিকে নানা ভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে বাদির পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে ১২মে উমরপুর ইউনিয়ন পরিষদে বিচার চাইতে যান জিনু বেগম। পথিমধ্যে উমরপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম শিকদারের সাথে তার সাক্ষাৎ হয়। বিচারের আশ্বাসে বিকেলে ৪টার দিকে আমিরুল জিনু বেগমেকে তার ইসবপুরস্থ বাড়িতে নিয়ে যান। সময় ক্ষেপণ করে বসত ঘরে নিয়ে জিনু বেগমকে কুপ্রস্তাব দেন ইউপি সদস্য আমিরুল। এতে জিনু বেগম রাজি না হওয়ায় ইউপি সদস্য আমিরুল ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে চড়-থাপ্পড় মেরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন।
জিনু বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমরা হত দরিদ্র পরিবার। পারিবারিক বিষয় নিষ্পত্তি করার আশ্বাস দিয়ে আমিরুল মেম্বার আমাকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। এসময় আমি রাজি না হওয়ায় সে আমাকে চড়-থাপ্পড় মারে এবং কাপড় ধরে টানা হেঁছড়া করে। এ বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য মেম্বারের স্ত্রীও আমাকে শাষায়। মান সম্মানের ভয়ে বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে থানা পুলিশের কাছে গিয়েছিলাম কিন্তু পুলিশ আমাকে কোনো সহায়তা করছে না। উল্টো মেম্বারসহ তার পক্ষের লোকজন টাকার বিনিময়ে বিষয়টি আপোষে নিষ্পত্তির জন্য আমি ও আমার স্বামীর বাড়ির লোকজনকে চাপ দেয়া হচ্ছে।
ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম সিকদার বলেন, ওই মহিলার পারিবারিক কলহের বিষয় নিয়ে আমার কাছে এসেছিল। বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আমি বৈঠক আহবান করি এতে তার স্বামী ও স্বামীর বাড়ির লোকজন উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ওই মহিলার সাথে আমার মনোমালিন্যের হয়েছিল এতে সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। উমরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বলেন, সালিশ বৈঠকে ওই মহিলার সাথে মেম্বারের কথা কাটাকাটি হয়েছিল বলে আমি শুনেছি। মারপিট ও অনৈতিক প্রস্তাবের বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য চেষ্টা করেছি কিন্তু মহিলার পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মিলছে না।
ওসমানীনগর থানার এসআই মো: মুমিনুল ইসলাম পিপিএম অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ওই মহিলাকে তার সাক্ষীদের নিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে।