কুশিয়ারা নদীতে বালু উত্তোলনকালে নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের

21

ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরে কুশিয়ারা নদী থেকে বালু উত্তোলন কালে ড্রেজার মেশিনে পেচিয়ে আব্দুর রশিদ নিহত হওয়ার ঘটনায় মামালা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার ওসমানীনগর থানার এস আই মুমিনুল ইসলাম পিপিএম বাদি হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন, মামলা নং-২৪। ওই মামলায় আটককৃত ৪ জন সহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১৫-২০ জনকে আসামী করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো- শেরপুর আবাসিক এলাকার ইমরান মিয়া (৩৫), সাদিপুর ইউনিয়নের সম্মনপুর গ্রামের কাজল মিয়ার পুত্র বর্তমানে শেরপুর নতুন বস্তির মুক্তি নগরের বাসিন্দা রাসেল মিয়া (২৯), শরিয়তপুর জেলার লাকদার গ্রামের সিদ্দেক আলীর পুত্র লিটন মিয়া (৪৫) ও ভোলা জেলার রাধাপুর গ্রামের আশরাফ আলীর পুত্র আকবর আলী (২১)। আটককৃতদের বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের আলীপুর এলাকায় কুশিয়ারা নদী থেকে বালু উত্তোলনকালে ড্রেজার মেশিন চালাতে গিয়ে অপারেটর আব্দুর রশিদ মেশিনে কাপড় পেঁচিয়ে মারা যান। তিনি পঠুয়াখালী জেলার বাসিন্দা।
ওসমানীনগর থানার ওসি আল মামুন বলেন, বালু উত্তোলনকালে ড্রেজার মেশিনে আব্দুর রশিদ নিহতের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত তিন বছর ধরে শেরপুর ও সাদীপুর এলাকার আওয়ামীলীগ বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক বর্তমান জনপ্রতিনিধিরা ঐক্যজোট হয়ে কুশিয়ারা নদীকে বিলিন করে নিজেরা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। বালু চুরিতে রাজনৈতিক মতানৈক্য নেই। এখানে নিজেদের স্বার্থে সবাই এক জোট হয়ে লুটপাটের বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। ওই এলাকার উপজেলা বিএনপির শীর্ষ পদে থাকা এক স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আওয়ামীলীগ নেতাদের সহযোগীতায় প্রশাসনকে ম্যনেজ করে দির্ঘ দিন ধরে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন। মাঝে মধ্যে স্থানীয়রা এ ব্যপারে প্রতিবাদ করলে প্রশাসন লোক দেখানো অভিযানে নামেন। কিন্তু থেমে থাকেনি বালু উত্তোলন। এছাড়া বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত প্রভাবশালীরা প্রতিবাদী ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রশাসনকে ব্যবহার করে নানা ভাবে হয়রানি করা হয়। এতে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে চান না।