তারাবীর নামাজ

98

সেলিম সিকদার

গিয়েছিলাম মসজিদে আজ
তারাবীর নামাজ পড়িতে ।
মসজিদে গিয়ে দেখি তৃতীয় কাতারের
পর সব খালি !
একে একে পার হলো ষোলো রমজান
মসজিদের মুসল্লি­গণ নিলো অবসান।
আবার, যখন আসবে সাতাইশার নামাজ
মুসল্লিগণের উপস্থিতিতে পড়ে যাবে
জায়গার অভাব।
কেউ বা তারাবীর নামাজ পড়ে চার রাকাত
কেউ বা তারাবীর নামাজ পড়ে আট রাকাত
বলে তাদের আছি নেকি অনেক কাজ ।
তবে, তাদেরকে আমি বলতে চাই !
কে সৃষ্টি করলো তোমায়,
তাকে একটু সময় দিবে !
তাতে কাজ আর বাহানার অভাব নাই।

খলিফা আমিরুল মোমিনিনেরও কাজ ছিলো।
যে অর্ধেক জাহানের খলিফা ছিলো।
সে আল্লাহ তাআলাকে সময় দিলো।
তবে কেনো সময় নেই তোমার ?
আবার, কেউ তারাবীর নামাজ পড়ে বারো
বলে তাড়াতাড়ি কেটে পরে।
কোথায় যেনো রেখে আসছি
এয়ার কন্ডিশন গাড়ী।

আরেক দল আছে নামাজ পড়ে না
ঘুরে দ্বারে দ্বারে।
বলে অভাব অনটনের কথা।
তোমরা কী হযরত আলী (রা.) নাম শুনেছো।
সে সবচেয়ে বেশি অভাবী ছিলো।
সেতো বলেনি অভাব অনটনের কথা।
ঘুরেনি দ্বারে দ্বারে।
তোমরা কেনো অভাব অনটনের কথা
বলো আর দ্বারে দ্বারে ঘুরে।

আবার কেউ চোখ দিয়ে করে ইশারা।
পড়বি কয় রাকাত ?
বিশ রাকাতের আনেক বেশি
নহে ফরজ ও সুন্নাত।
আবার কেউ তারাবীর নামাজ পড়ে ষোলো।

তারা বলে মুটামুটি আছি ভালো।
আবার কেউ পড়ে তারাবীর নামাজ কুড়ি রাকাত।
তারা বলে আমরা তারাবীর নামাজের
গুরুত্বো ও ফজিলাত বুঝি।
তারা বলে আমরা আল্লাহ তাআলার
কাছে ফরিয়াদ করি !
রমজান মাসে যেনো গোনাহ মাফ করেন আল্লায়।
রমজান মাসে যেনো মরণ দেয় আল্লাহ।