সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ শাহপরাণ থানার ওসি আখতারের অপসারণ দাবি

30

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরাণ (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেনের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগসহ তার অপসারণ দাবি করেছেন খাদিমপাড়া ইউপির মুরাদপুর গ্রামের আজমল আলী নেপুর মিয়ার স্ত্রী হারুন বেগম। গতকাল মঙ্গলবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ দাবি জানান। একই সাথে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার আহমদের যোগসাজশে ‘মিথ্যা’ অভিযোগের প্রেক্ষিতে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার তার স্বামী নেপুর মিয়ার মুক্তিরও দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে হারুন বেগম বলেন, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের হযরত শাহপরাণ থানার ওসি আক্তার হোসেন দীর্ঘদিন থেকে এই থানায় কর্মরত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনিয়ম স্বজনপ্রীতির অভিযোগ ওঠেছে। নিরীহ মানুষকে বারবার হয়রানির অভিযোগও ওঠেছে। ইদানিং একের পর এক মামলায় বিপর্যস্ত শাহ্পরাণবাসী। আর এসব মামলার বেশিরভাগই হচ্ছে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে।’
তিনি দাবি করেন, সম্প্রতি খাদিমপাড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সালিশ ব্যক্তিত্ব আজমল আলী নেপুর মিয়ার সাথে মুরাদপুর গ্রামের মৃত মন্তাজ আলীর মেয়ে রাসনা বেগমের সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে গত ১৬ মে নেপুর মিয়ার ভাতিজা হিফজুর রহমানের সাথে তার প্রতিপক্ষ দৌলত মিয়ার কথা কাটাকাটি হয়। এর সাথে নেপুর মিয়া জড়িত ছিলেন না। অথচ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৮ মে হযরত শাহপরাণ থানায় রাসনা বেগম বাদী হয়ে নারী নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয় নেপু মিয়াসহ মোট ৫ জনকে। মামলায় হাত ভাঙ্গা ও মারধরের কথা উল্লেখ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তিনি বলেন, মামলা দায়ের করার পর নিয়ম অনুযায়ী পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্তারিত তদন্ত করার কথা। ওইদিন রাতে নেপুর মিয়া অন্য কাজে থানায় যান। এ সময় শাহপরাণ থানার ওসি আক্তার হোসেন কোন ধরণের তদন্ত বা অনুসন্ধান ছাড়াই রাসনা বেগমকে দিয়ে অভিযোগ লিখিয়ে নেপু মিয়াকে গ্রেফতার করেন।
তিনি বলেন, রাসনা বেগমের সাথে মুরাদপুর বাজারের জমির নিয়ে চেয়ারম্যান আফসরের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বিরোধপূর্ণ জমি রাসনাকে দখল করে দেওয়ার বিনিময়ে তিনি নিজেও অর্ধেক অংশের মালিক হবেন এমন কথা এলাকায় ব্যাপক প্রচারিত। তাছাড়া চেয়ারম্যান আফসর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দলীয় ঘনিষ্ঠতার দাপট দেখান এলাকায়। তিনি কথায় কথায় গোটা এলাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে হুমকি ধমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন। নেপু মিয়া ও তার পক্ষের লোকজনকেও তিনি একই পদ্ধতিতে ঘায়েল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। তদন্ত না করে মামলা গ্রহণ করায় এলাকাবাসী ওসি আক্তারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন। ইতিমধ্যে বিক্ষোভ-মানববন্ধন করা হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ নেতা নেপুর মিয়ার মুক্তি ও ওসি আক্তারকে অপসারণের জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মহলের সহযোগিতা কামনা করেন।