আইনমন্ত্রীর মন্তব্য ॥ বিচারাধীন মামলার সংবাদ প্রচার নিয়ে শীঘ্রই ব্যাখ্যা আসছে

21

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিচারাধীন মামলার সংবাদ প্রচার না করার বিষয়ে সুপ্রীমকোর্টের দেয়া বিজ্ঞপ্তি নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের ব্যাখ্যা দ্রুত আসছে। আমার মনে হয়, আপনারা অতি দ্রুত এ বিষয়ে একটি ব্যাখ্যা পাবেন। সোমবার দুপুরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ আপীল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রী। আপীল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে সাক্ষাতের কারণ জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, আমার সঙ্গে প্রধান বিচারপতির মাঝে মাঝে কথা হয়ে থাকে। তাই আমার এখানে আসা অস্বাভাবিক কিছু না। বিচারাধীন মামলার সংবাদ প্রকাশ না করার বিষয়ে সুপ্রীমকোর্টের দেয়া বিজ্ঞপ্তি নিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমি নিশ্চয় এ বিষয়ে কথা বলেছি। আলাপ চলছে, কিছুটা (বিজ্ঞপ্তি নিয়ে) যদি ভুল বোঝাবুঝি হয়েও থাকে সে বিষয়টা তাদের (আপীল বিভাগের বিচারপতিদের) বিবেচনায় আছে। আমার মনে হয় আপনারা অতি দ্রুত এ বিষয়ে একটি ব্যাখ্যা পাবেন।
গত ১৬ মে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মোঃ গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বলা হয়, ‘ইদানীং’ কোন কোন ইলেকট্রনিক মিডিয়া তাদের চ্যানেলে এবং কোন কোন প্রিন্ট মিডিয়া তাদের পত্রিকায় বিচারাধীন মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন/স্ক্রল করছে, যা ‘একেবারেই অনভিপ্রেত’। এমতাবস্থায়, বিচারাধীন কোন বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন/স্ক্রল করা হতে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এ ঘটনার পর ল রিপোর্টার্স ফোরাম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, এডিটরস গিল্ডসহ বিভিন্ন সংগঠন সুপ্রীমকোর্ট প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করে বিষয়টি স্পষ্ট করার আহ্বান জানান। এই অবস্থায় সোমবার আইনমন্ত্রী সুপ্রীমকোর্টে গিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। কোন বিচারপতির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ এলে কী ব্যবস্থা নেয়ার আছে-সাংবাদিকরা জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, কোন সমস্যা যদি হয়, তাহলে রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদের অধিকারী। তার কাছে কোন না কোন নালিশ পাঠানো যেতে পারে এবং তার যথেষ্ট ক্ষমতা আছে। তাছাড়া সংবিধানের মধ্য থেকেই তিনি বিবেচনা করতে পারেন। সেট তার বিবেচ্য বিষয়। ষোড়শ সংশোধনীর বিষয়ে যে শূন্যতা, সে শূন্যতার কারণে কোন কিছুই রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো যাবে না, এটা ঠিক না।