হবিগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

11
হবিগঞ্জে কালবৈশাখীর ঝড়ে বিধ্বস্ত অর্ধ শতাধিক ঘর-বাড়ি।

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে প্রায় অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়াও অনেক স্থানে গাছ-পালা উপড়ে গেছে। উড়ে গেছে ঘরের টিনের চালা। আর এতে করে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। গত শনিবার সকাল,বিকেল,সন্ধ্যা এমনকি মধ্যরাতেও হঠাৎ করেই জেলার উপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডব বয়ে যায়। এ সময় হবিগঞ্জ শহর, বানিয়াচং, চুনারুঘাট ও মাধবপুর, নবীগঞ্জ উপজেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়। এছাড়াও শহরের খোয়াই নদীপাড়ে অবস্থিত বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বসে নদীতে পড়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী জাবেদ আহমেদ জানান, ঝড়ো হওয়ার সাথে প্রচন্ড বৃষ্টিপাতের কারণে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি ধ্বসে নদীতে পড়ে যায়। আর এতে করে প্রতিষ্ঠানে থাকা সকল মালামালও নদীর পানিতে ভেসে যায়। এর ফলে তার লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও মাটি ধ্বসে নদীতে পড়ে যাওয়ার সময় বেশ কয়েকটি যানবাহনও নদীর পানিতে তলিয়ে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার (ওসি) মোহাম্মদ সহিদুর রহমান জানান, প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়ার সাথে দমকা বাতাসের কারণে শহরের বেশ কিছু স্থানে ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। তবে বড় ধরণের কোন হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এর মধ্যে শহরের যশোর আব্দা, রেডক্রিসেন্ট ভবন, অনন্তপুর ও খোয়াই নদীপারের কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঘর-বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। অধিকাংশ ঘরেরই টিনে চালা উড়ে গেছে।
হবিগঞ্জ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগ সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম জানান, ঝড়ো হাওয়ার সময় রেডক্রিসেন্ট ভবনের টিনের চালা উড়ে গেছে। আর এতে করে ভবনে থাকা মালামালের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
জেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, ঝড়ে বেশ কিছু স্থানে ক্ষয়-ক্ষতির খবর আমরা পেয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের তালিকা প্রণয়ন করে তাদেরকে আর্থিক ভাবে সহায়তা প্রদান করা হবে।