জগন্নাথপুরে সংঘর্ষের কারণে ২ বছর ধরে দোকানপাট বন্ধ, এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি

22

মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুরে সংঘর্ষের কারণে দীর্ঘ ২ বছর ধরে বেশ কয়েকটি দোকানপাট বন্ধ রয়েছে এবং এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীধরপাশা গ্রামে মাদ্রাসার জমি নিলাম নিয়ে গ্রামের আশরাফ আলম কোরেশী ও আবদুল মালিকের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ ও বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় ১ জন নিহত সহ উভয় পক্ষে শতাধিক লোক আহত হন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলা ও পাল্টা মামলা চলছে। এর মধ্যে গত কয়েক মাস আগে জগন্নাথপুর থানা পুলিশের উদ্যোগে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তি করা হয়। তাতেও কাজ হচ্ছে না। তাদের বিরোধ যেন পিছু ছাড়তে চাইছে না। একের পর এক ঘটে চলেছে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটনা।
১৪ মে মঙ্গলবার সরজমিনে স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় মোহাম্মদগঞ্জ বাজারে আশরাফ আলম কোরেশী পক্ষের প্রায় ১০/১২টি দোকানপাট রয়েছে। সংঘর্ষের কারণে দীর্ঘ ২ বছর ধরে তাদের দোকানপাট বন্ধ আছে। এ ব্যাপারে মোহাম্মদগঞ্জ বাজার সেক্রেটারি মাহবুবুল আলম মাসুম বলেন, প্রতিপক্ষের ভয়ে এসব দোকানপাট খোলা যাচ্ছে না। এছাড়া সংঘর্ষের সময় এসব দোকানের মালামাল লুটপাট হয়েছিল। এ সময় আশরাফ আলম কোরেশী পক্ষের মখলিছ মিয়া, আখলাকুল আম্বিয়া ও আনোয়ার হোসেন বলেন, আবদুল মালিক পক্ষের ফয়সল মিয়া ও মুর্শেদের নির্দেশে স্থানীয়ভাবে সিরু মিয়ার নেতৃত্বে লিমন, সিপন, মারুফ সহ একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর কারণে আমরা হাট-বাজারে ও রাস্তা-ঘাটে চলাচল করতে পারছি না। এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে রেখেছে। তাদের যন্ত্রণায় আমরা জমি চাষাবাদও করতে পারি না। আমরা রীতিমতো জিম্মি দশায় জীবন-যাপন করছি। তবে মোহাম্মদগঞ্জ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকটি দোকান বন্ধ থাকলেও বাকি দোকান খোলা রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি দোকান আশরাফ আলম কোরেশী পক্ষের লোকজন ভাড়া দিয়ে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আবদুল মালিক পক্ষের বাজার সভাপতি রুকন উদ্দিন বলেন, বাজারে কোন সমস্যা নেই। তবে কারো দোকান কেউ না খোললে আমাদের কিছুই করার নেই।