রমজানকে সামনে রেখে সিলেটে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম

67

স্টাফ রিপোর্টার :
পবিত্র রমজান শুরু হতে আর মাত্র একদিন বাকি। এর আগেই বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। জিনিসপত্রের দাম বাড়ানোর অজুহাত হিসেবে প্রতিবছরই রোজা আর ঈদকে ব্যবহার করেন ব্যবসায়ীরা।
তাই বাজারে বাড়ছে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, চিনি, ছোলা ও ডালসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে এসব পণ্যের প্রায় প্রতিটিতে দাম বেড়েছে ২ থেকে ১০ টাকা করে। নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব দ্রব্যের বাড়তি দামে অনেকটা অস্বস্তিতে পড়েছেন ভোক্তারা। আর এ জন্য বাজার নিয়ন্ত্রণকারী অসাধু সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন তারা। তবে রমজানকে সামনে রেখে গত ১৭ এপ্রিল মনিটরিং করেছেন সিলেটের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি।
পবিত্র রমজান মাসের আগে সিলেটের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে নগরীর প্রধান পাইকারী পণ্যের বাজার লালদীঘিরপার ও কালিঘাটে বাজার মনিটরিংয়ে যান সিলেট চেম্বার নেতৃবৃন্দ। সিলেট চেম্বার অব কমার্সের চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদসহ প্রতিনিধিদলের সাথে অংশগ্রহণ করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বিএসটিআই এর কর্মকর্তাবৃন্দ। এসময় সরবরাহে ঘাটতি ও সর্বক্ষেত্রে ব্যয় বাড়ায় দ্রব্যমূল্য বাড়ছে বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে কাঁচাবাজারগুলোতে সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকার পরেও দাম কিছুটা বাড়তির দিকে। শুধু স্বাভাবিক রয়েছে চালের দাম। আর কোম্পানিভেদে ভোজ্য তেলের দাম কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন দোকানিরা। নগরীর বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে পেঁয়াজ প্রতি কেজি পাইকারী মূল্য ১৫ থেকে ১৮ টাকা, আদা ৭২ টাকা, রসুন ৮৫ টাকা, দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, চিনি গত সপ্তাহে ছিল ৪৮ টাকা, বর্তমানে এর দাম ৫১ থেকে ৫২ টাকা। নতুন চাল বাজারে চলে এলে চালের দাম আরো নামতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। নগরীর সবজিবাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি টমেটো -৫০, বেগুন-২৫, মুলা-৪০, শশা-৩০, বাধাকপি-৪০-৫০, মুকি-৮০-৯০, কাচা মরিচ-৫০-৬০, ধনীয়া পাতা -৩০ পর্যন্ত দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতাদের সাথে আলাপকালে জানা যায়- প্রতি বছর রমজানের আগে ব্যবসায়ী সংগঠন ও সরকারকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়। তবে সেসব উদ্যোগ বাস্তবায়ন হয় না। যার ফল ভোগ করতে হয় সাধারণ ক্রেতাদের। আর এজন্য অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দায়ী বলে মনে করেন তারা।
সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ জানান, গেল বছরে রমজানের পূর্বে আমরা বাজার মনিটরিং করেছিলাম। এতে ব্যাপক সুফল পাওয়া গেছে। ফলে এবারও আমরা বাজার মনিটরিংয়ে নেমেছি। তিনি ব্যবসায়ীদেরকে আসন্ন পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে জনসেবার উদ্দেশ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার আহবান জানান।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারি পরিচালক (মেট্রো) মো. ফয়জুল্লাহ জানান, দ্রব্যমূল্য যাতে বৃদ্ধি না হয়, সেজন্য আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। প্রতিটি দোকানে পণ্যমূল্য টানিয়ে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।