দক্ষিণ সুরমা শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

80
অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাষ্টের জন্য ১০ শতাংশ কর্তনের আদেশের প্রতিবাদে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি দক্ষিণ সুরমা উপজেলা শাখার মানববন্ধনে বক্তব্য রাখছেন শাখা সভাপতি মো: রমজান আলী।

সিলেটে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্ট্রের জন্য ১০ শতাংশ কর্তনের আদেশের প্রতিবাদে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল এবং উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর ২৫ এপ্রির বৃহস্পতিবার স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি দক্ষিণ সুরমা উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
সারাদেশের ন্যায় বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের বদিকোণাস্থ প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ে সামনে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা শাখার আয়োজনে এ মানববন্ধন পালন করা হয়।
মানববন্ধন শেষে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু চৌধুরীর মাধ্যমে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি দক্ষিণ সুরমা উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করে। এর পূর্বে শিক্ষক সমিতির বিক্ষোভ মিছিল করে।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ রমজান আলীর সভাপতিত্বে ও কোষাধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা কামালের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ বেলাল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালিক রাজু, বিবিদলই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম রানা, প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম মোস্তফা, জালালাবাদ দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক এ.কে.এম আব্দুল আহাদ, সিরাজ উদ্দিন আহমদ একাডেমির সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ মকব্বির আলী, শিক্ষক জামাল উদ্দিন, আখতার হোসেন, শফির আহমদ কামাল, আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, হাবিবুর রহমান, স্বপ্ন চন্দ্র দে, ঋতিষ চন্দ্র দে, ইকরাম হোসেন, জয়নাল আহমদ, আখতার হোসেন, সুহেল আহমদ, শামসু মিয়া, মাওলানা শামীম আহমদ, জবরুল ইসলাম, রইছ আলী, ফারুক আহমদ, আল মেহেদী তালুকদার, সাজিয়া খানম, ওয়ারিছ আলী প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তাগণ বার্ষিক ৫% প্রবৃদ্ধি ও বৈশাখীভাতা প্রদানকে জাতীয়করণের লক্ষ্যে একধাপ অগ্রগতি উল্লেখ করে বলেন যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার। বেসরকারী মাধ্যমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণের লক্ষ্যে আগামী ঈদে পূর্ণাঙ্গ উৎসবভাতা, ন্যায্য বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদানের দাবি জানান। বক্তারা বলেন, শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা না করেই বিগত ১৫ জুন ২০১৭ কল্যাণ ট্রাস্ট এবং ২০ জুন ২০১৭ অবসর সুবিধা বোর্ডের জন্য বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে ১০% কর্তনের পৃথক দুটি অমানবিক প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। যা সারা দেশের শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের ফলে স্থগিত করা হয়েছিল। কোন প্রকার আলোচনা ছাড়া গত ১৫ এপ্রিল এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪% সহ মোট ১০% কর্তনের জন্য মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে লিখিত আদেশ দেন। এতে সারা দেশের শিক্ষক-কর্মচারীগণ অত্যন্ত মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। বক্তাগণ বলেন, শিক্ষানুরাগী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশ আজ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে। শিক্ষকদের প্রত্যাশা, প্রধানমন্ত্রী মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ এর লক্ষ্যে সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় বেসরকারি শিক্ষক-কর্মীদের উৎসব ভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান সহ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে ১০% কথনের প্রজ্ঞাপনটি বাতিলের নির্দেশন দেবেন। বিজ্ঞপ্তি