সীমান্ত হাট নিয়ে সিলেটে বাংলাদেশ-ভারত বৈঠক

7

স্টাফ রিপোর্টার :
সীমান্ত এলাকার মানুষের জীবন মানের উন্নয়নে সীমান্ত হাট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, সীমান্ত হাট চালুর বিষয়ে গত বছর আগর তলায় প্রথম বৈঠক হয়। সিলেটে এটি দ্বিতীয় বৈঠক।
এই বৈঠক শতভাগ সফল হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সিলেট জেলায় একমাত্র সীমান্ত হাট হচ্ছে ভোলাগঞ্জে। এ বছরের ডিসেম্বরে সেটি চালুর প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া সিলেটে আরো দু’টিসহ ৬টি সীমান্ত হাট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে সীমান্ত হাট নিয়ে সিলেটে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান তিনি।
প্রেস ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, ২০২০ সালে সিলেটের বিয়ানীবাজারের মুড়িয়া ও কানাইঘাট সীমান্তে আর দুটি হাট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এরআগে সিলেটে কোনো সীমান্ত হাট ছিলনা। এছাড়া হবিগঞ্জ ও মৌলবীবাজারে আরও ৪টি হাট প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সীমান্ত হাটে উভয় দেশের ৫০টি করে দোকান থাকবে। বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি নির্ধারণ করবে কতটাকা পর্যন্ত মালামাল কিনতে পারবেন। তবে মালামাল ক্রয় ২শ’ ডলারের মধ্যে সীমিত রাখা হবে। এছাড়া সীমান্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহনীয় রাখতে বিজিবি কাজ ও বিএসএফ কাজ করে যাবে। বাজারে আগন্তুকদের বডি সার্চ করে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, প্রথম অবস্থায় বাজারের ৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে বাজারের সীমাবদ্ধতা রাখা হবে। পর্যায়ক্রমে এটা বাড়ানো যায় কি না, এ বিষয়ে বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। এ সংক্রান্ত পরবর্তী সভা আগামি ২০২০ সালের জানুয়ারিতে হবে বলে জানান অতিরিক্ত সচিব।
এর আগে সকালে সিলেটের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত দুই দেশের যৌথ বৈঠকে বর্ডার হাট নিয়ে আলোচনা করেন উভয় দেশের প্রতিনিধিরা।
১৭ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শফিকুল ইসলাম ও ভারতের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে দেন বাণিজ্য বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ভূপিন্দর এস বাল্লা। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এএইচএম আহসান, যুগ্ম সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান, যুগ্ম সচিব নুর মো. মাহবুবুল হক, সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোল্লা মিজানুর রহমান, মো. সেলিম হোসেন। ভারতের প্রতিনিধি দলে উপস্থিতি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক হিতেশ রাজপাল, ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি (বাণিজ্য) শিশির কোঠারি, আসাম অঙ্গরাজ্যের উপসচিব সাজ্জাদ আলম, মেঘালয় অঙ্গরাজ্যের উপপরিচালক উইনফ্রেড ওয়ারশং প্রমুখ।
এরআগে মঙ্গলবার কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ সীমান্তের ১২৪৮/১১এস ও ১২৪৮/১২এস পিলারের কাছে সীমান্ত হাটের স্থান পর্যক্ষেণ করেন প্রতিনিধি দল। সেখানে সীমান্ত হাট গড়ে তোলার বিষয়ে ঐক্যমতে পৌছান তারা।