দেশ প্রযুক্তিনির্ভর হলে দুর্নীতি কমবে – প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক

25
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

শাবি থেকে সংবাদদাতা :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘অংক, বিজ্ঞান, ইংরেজি এগুলোর পাশাপাশি আরেকটা ভাষা সকলকে শিখতে হবে। সেটা হচ্ছে প্রোগ্রামিং, যা প্রযুক্তির ভাষা, কম্পিউটারের ভাষা। কম্পিউটার যে ভাষাটা বুঝে তা আমাদের সকলকেই শিখতে হবে। সেজন্যেই ২০১০ সাল থেকে ন্যাশনাল কারিকুলামে আইসিটি নামক একটি বিষয় ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্তবাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
শনিবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ে দু’দিনব্যাপী ‘এলআইসিটি সাস্ট টেক ফেস্ট-২০১৯’ এর টেক টক উইথ পলক পর্বে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘যত বেশি প্রযুক্তির ব্যবহার করতে পারব তত বেশি দুর্নীতি, হয়রানি, সময়-খরচ কমাতে পারব। গত সাত বছরে ই-গভর্মেন্ট প্রকিউরমেন্ট নামে একটা সফটওয়ারের মাধ্যমে বিশ বিলিয়ন ডলারের টেন্ডার অনলাইনে জমা হয়েছে। এতে কোন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ঘটেনি। প্রযুক্তি নির্ভরতা আমাদের দুর্নীতি, সন্ত্রাস মুক্ত করেছে। আমরা চাই আমাদের তরুণদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে একটা ডিজিটাল অর্থনীতির দেশ হব এবং বিশে^র বুকে মাথা উচু করে দাঁড়াব। তরুনরা গড়বে দেশ ডিজিটাল হবে বাংলাদেশ।
মন্ত্রী আরও বলেন, মানব সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা একটা পিরামিড স্ট্রাকচার ফলো করছি, যেখানে পিরামিডের উপরের শীর্ষস্থানে থাকবে অল্প কিছু সংখ্যক ইনোভেটর, আনট্রাপ্রেনর, রিসার্চার। এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে ৪০টি স্পেশালাইজড ল্যাব করেছি, আরও ১৩০টি পাবলিক-প্রাইভেট বিশ^বিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করব।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলে তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ফাইবার অপটিকসের মাধ্যমে সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারা দেশে কানেক্টেড করতে আমরা ডিজিটাল কানেক্টিভিটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এতে গ্রাম পর্যন্ত সবার হাতে হাতে ইন্টারনেট পৌছে দিতে পারব। আমরা ইতোমধ্যে নয় হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব আমরা স্থাপন করেছি, আরও পঁচিশ হাজার পাঁচশত স্কুলে আমরা ল্যাব স্থাপন করব, যেখানে প্রতিটা স্কুলে একুশটা করে ল্যাপটপ থাকবে, স্কুল হবে প্রযুক্তিভিত্তিক।
শাবিপ্রবি’র কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, এলআইসিটি ইন্ডাস্ট্রি প্রোমোশন স্পেশালিস্ট হাসান বেনাউল ইসলাম, ফেস্টের আহবায়ক অধ্যাপক ড. এম জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ড. জাফর ইকবাল বলেন, বড় ভিশন থাকলে বড় বড় কাজ করা যায়। সেজন্য বড় পরিসরে চিন্তা করতে হবে। আমরা জানি সোশাল মিডিয়া ফেসবুকের কারণে আমাদের ছেলেমেয়েদের মাঝে একটা বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। তোমরা যদি প্রোডাক্টিব হতে চাও সময়টাকে ঠিক করে ব্যবহার কর। ফর গড সেক, স্মার্টফোনে যেটুক সময় দেয়া দরকার তার থেকে বেশি তোমরা দিও না। তাহলে কিন্ত তোমরা প্রোডাক্টিব হতে পারবে না।