সুনামগঞ্জে চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা

25
কমলগঞ্জে দুর্ঘটনার শিকার বাস।

আল-হেলাল সুনামগঞ্জ থেকে :
সুনামগঞ্জের ধোপাজান চলতি নদীতে বালু বোঝাই নৌকা থেকে চাঁদা দিতে অস্বীকার করার এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার দিকে সুনামগঞ্জ সদর থানার সুরমা ইউনিয়নের পশ্চিম সদরগড় গ্রামে সুরমা ও ধোপাজান নদীর পাড়ে প্রকাশ্য দিবালোকে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত মিজানুর রহমান (২২) সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে। পরে সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
এদিকে, হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আব্দুল মালেক, আব্দুল হাই ও আব্দুস সাত্তার নামের তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের বাড়ি সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের পশ্চিম সদরগড় গ্রামে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে ধোপাজান বালুপাথর মহাল থেকে একটি নৌকায় বালু বোঝাই করে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে দিতে চলতি নদীর সদরগড় এলাকায় যান মিজানুর। এই সময় স্থানীয় আব্দুল মালেক ও তার সহযোগীরা মিজানুরকে বোঝাই মালের টোল পরিশোধের নাম করে চাঁদা দাবি করে। মিজানুর চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় চাঁদাবাজরা রামদা দিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, ১২ জন চিহ্নিত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী রামদা দিয়ে কোপিয়ে পরিকল্পিতভাবেই খুন করেছে মিজানকে।
আহতের এক পর্যায়ে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাকে নদীর পাড়ে ফেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে মিজানুরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
বালু পাথর ব্যবসায়ীরা জানান, সুরমা ও ধোপাজান নদীতে আজম খান ওয়াকফ এস্টেট, সুনামগঞ্জ পৌরসভা, বিআইডব্লিউটি, সুরমা ইউনিয়ন পরিষদ, উজান-ভাটি, স্থানীয় মসজিদসহ বিভিন্ন নামে প্রায় ৮টি অবৈধ গ্র“প নিয়মিত চাঁদা আদায় করে থাকে। নিজেদের বাড়ির সামনে এহেন ন্যাক্কারজনক চাঁদাবাজীর প্রতিবাদ করায় খুন হয়েছে প্রতিবাদী মিজান।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়ছে। হত্যাকান্ডে জড়িত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।