নবীগঞ্জে হামলার শিকার আহত বৃদ্ধ ব্যক্তির মৃত্যু

13

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নে হামলার ঘটনার ২৪ দিনের মাথায় আহত বশির মিয়া (৬০) নামে এক বৃদ্ধ ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শুক্রবার সকালে আহত বশির মিয়া সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। বৃদ্ধ বশির মিয়া উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের দ্রীঘরভ্রামন গ্রামের মৃত নুর বখত উল্লাহর পুত্র।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের দ্রীঘরভ্রামন গ্রামের আজাদ হোসেন,খেলা মিয়া গংদের কাছ থেকে ৬ শতক জায়গা ক্রয়ের জন্য প্রায় সাড়ে ৪লাখ টাকা দেয় একই গ্রামের বশির উল্লাহর পুত্র লেবু মিয়া। দীর্ঘদিন ধরে জায়গার রেজিস্ট্রারি করে দলিল করে দেয়ার জন্য বলে লেবু মিয়া। কিন্তু খেলা মিয়া জায়গা রেজিস্টারি করে দিতে অপারগতা জানায় এবং জায়গা বাবদ টাকা নেয়ার বিষয় অস্বীকার করে। এ ব্যাপারে একাধিক বার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার বিষয়টি আপোষে মীমাংসা করার জন্য উদ্যোগ নিলে এতে সাড়া দেয়নি আজাদ মিয়া, খেলা মিয়া গংরা। লিবু মিয়া বার বার শালিস বিচারকদের কাছে গিয়ে বিচার চাওয়ার ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় আজাদ মিয়া গংরা। এ ঘটনার জের ধরে গত (১২ই মার্চ) মঙ্গলবার ভোর সকালে গ্রামের বশির উল্লাহ, লেবু মিয়ার স্বপরিবার ঘুমন্ত অবস্থায় থাকাকালে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায় আজাদ মিয়া, খেলা মিয়া গংরা। এ ঘটনায় বশির মিয়া(৬০) তার স্ত্রী আনোয়ারা (৫৫) কে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনার পর (১২ মার্চ) রাতেই বশির মিয়ার পুত্র লেবু মিয়া বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এদিকে আহত বাকিরা আশংকামুক্ত হলেও পায়ে প্রচন্ড আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন বৃদ্ধ বশির মিয়া। শুক্রবার সকালে বশির মিয়া পায়ে অপারেশন করতে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বাদ মাগরিব স্থানীয় মসজিদ মাঠে জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ কয়েক শতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন। পরে পরিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। অন্যদিকে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শস্তির দাবী জানিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন বশির মিয়ার পরিবার। নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।