সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ বিশ্বনাথে স্ত্রী-কন্যাকে জিম্মি করে প্রবাস ফেরত ব্যক্তির পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ

10

স্টাফ রিপোর্টার :
বিদেশে রোজগার শেষে দেশে ফিরে দেখলেন দেশে পাঠানো অর্থকড়ি নেই। এখন স্ত্রী-কন্যাকে আটকে রেখে প্রতিপক্ষের লোকজন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। একের পর এক হামলা করে ভাই-ভাতিজাদেরকে বাড়িছাড়া করার চেষ্টা করছে একটি চিহ্নিত অপরাধীচক্র। এদের হুমকি-ভয়ভীতিতে ভীতসন্ত্রস্ত বিশ্বনাথ উপজেলার নোয়াগাঁও পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. ইদ্রিছ আলী। গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন অভিযোগ করেন। এই পরিস্থতি সিলেটের পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহায়তা চেয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইদ্রিছ আলী বলেন, ১৫/১৬ বছর সৌদি আরবে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে ২০০৯ সালে দেশে আসেন। এই দীর্ঘ সময়ে স্ত্রী রীনা বেগমের কাছে মাসে মাসে টাকা পাঠাতেন। যার পরিমাণ প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা। স্ত্রী টাকা পয়সা জমা না রেখে বিলাসিতায় খরচ করেন এবং তার নামে এককভাবে জমি কিনেন। সে সময় পাশের বাড়ির শফিক মিয়ার ছেলে ফাহিম নামের এক যুবককে ঘরে আসা-যাওয়ার সুযোগ করে দেন রীনা। যার ফলে তার ষোড়শি কন্যা নিলুফার ইয়াছমিনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে ফাহিম।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ফাহিমরা সব সময় সশস্ত্র অবস্থায় এলাকায় চলাফেরা করে। এদের কাছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র আছে। এরা পেশাদার অপরাধী। ২০১০ সালের ১১ ফেব্র“য়ারি ফাহিমের ভাই ফখরুল প্রচুর পরিমাণ জাল টাকাসহ গ্রেফতার হয়। এছাড়া ফাহিম ২০১৪ সালের ২৯ মে বিশ্বনাথে ছাতকের এক ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত করে ৫০ হাজার টাকা ছিনতাই করে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে নানা অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে থানায়। তারা আমার স্ত্রী রীনা বেগমের কাছে থাকা সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেছে। তাদেরকে আটকে রেখে নির্যাতন চালাচ্ছে, আর তাদের পক্ষে বিভিন্ন মামলায় ব্যবহার করছে। প্রশাসনের কাছেও তারা বারবার আশ্রয় পাচ্ছে। ফলে একের পর এক ঘটনা ঘটানোর সাহস পাচ্ছে। এই সন্ত্রাসীদের কবল থেকে আমার স্ত্রী-কন্যাকে উদ্ধার করে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়ে তাদের জীবন এবং আমার ও আমার ভাতিজাদের জীবন রক্ষার স্বার্থে আসল রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।