আমার মতো নির্যাতিত নিপীড়িত নেতা আর একজনও নেই – এরশাদ

54

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বাংলাদেশে তার মতো আর কোনও নির্যাতিত নিপীড়িত নেতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। বলেন, ‘আমার মতো নির্যাতিত, নিপীড়িত নেতা বাংলাদেশে আর একজনও নেই।’
বুধবার সকালে ঢাকার গুলশানের একটি কনভেনশন সেন্টারে নিজের জন্মদিনের এক অনুষ্ঠানে সাবেক এই স্বৈরশাসক একথা বলেন। দলের চেয়ারম্যানের ৯০তম জন্মদিন পালন উপলক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করের নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠানে হুইল চেয়ারে করে আসেন এরশাদ।
এরশাদ বলেন, ‘স্ব-ইচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পর পাঁচদিনের মাথায় আমাকে জেলে যেতে হয়েছে। আমার ওপর নানারকম অত্যাচার নির্যাতন চালানো হয়েছে। মনে জোর ছিল বলে টিকে আছি। কেউ আমাকে দমাতে পারেনি।’
মনজুর হত্যা মামলার প্রসঙ্গ টেনে এরশাদ বলেন, ‘এ মামলার রায় একাধিকবার রায় লেখা শেষ হলেও শেষ পর্যন্ত রায় দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে রায় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে স্বাক্ষ্য প্রমাণ নিয়েছে। এভাবে নির্যাতন সহ্য করেছি। এখনো অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছি।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এরশাদ বলেন, ‘আমার শেষ কথা জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করুন। দলকে আগামীতে ক্ষমতায় আনুন।’
‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীন করেছেন, এরশাদ দিয়েছেন সুফল’
অনুষ্ঠানে দলের চেয়ারম্যান স্বামীর পাশেই বসছিলেন জাপা কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছে। কিন্তু স্বাধীনতার সুফল দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন এরশাদ।’
এরশাদের শাসনামলের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘তার কর্মকান্ড তরুণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে।’
রওশন বক্তব্য দেওয়ার সময় তৃণমূলের এক নেতা সিএমএইচে এরশাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ তুলে বলেন, ‘সেখানে ভুল চিকিৎসা হয়েছে।’
রওশন তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলা অন্যায়। এতে সিএমএইচের ডাক্তাররা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আর্মিদের নিয়ে খারাপ কথা বলবেন না।’
রওশন এরশাদের কথা থামিয়ে দিয়ে আরেকজন কথা বলায় হলের মধ্যে খানিকটা হট্টগোল তৈরি হয়। এসময় রওশন তাদের থামিয়ে দিয়ে এরশাদের জন্মদিনের স্লোগান তোলেন। পরে এরশাদ হুইল চেয়ারে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।