প্রধানমন্ত্রীকে ডা. দেবী শেঠী ॥ আপনি যখনই ডাকবেন চলে আসব

97
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে ভারতের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠী সৌজন্য সাক্ষাৎ করছেন।

কাজিরবাজার ডেস্ক :
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে জীবন সংকটাপন্ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে এসে দিনভর আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দেবী শেঠী। পূর্ণ নাম ডাঃ দেবী প্রসাদ শেঠী, যাকে বলা হয় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ১০ চিকিৎসকের একজন। ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় সিদ্ধান্ত দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনার বিশেষ অনুরোধে নিজস্ব প্লেনে ঢাকায় এসে চিকিৎসাধীন ওবায়দুল কাদেরকে দেখে জানালেন, ‘বিদেশে নিতে চাইলে এখনই তার উপযুক্ত সময়’। দেশে ফেরার আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করে তাকে ধন্যবান জানিয়ে দেবী শেঠী বলেন, ‘যে কোন সময় যে কোন প্রয়োজনে আপনি ডাকলেই চলে আসব।
দেবী শেঠী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে ঢাকায় আসছেন এ খবর সোমবার সকালে প্রকাশ হওয়ার পরই আগ্রহের কেন্দ্রে চলে আসেন প্রখ্যাত এ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। পৌনে ১টার দিকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেন দেবী শেঠী। পরে সেখান থেকে সড়ক পথে সরাসরি যান বিএসএমএমইউতে। দুপুর ১২টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার নামার কথা ছিল। কিন্তু তার আসতে ১ ঘণ্টা দেরি হয়। ১টা ৩০ মিনিটে দেবী শেঠী বিএসএমএমইউর প্রধান ফটক দিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করেন। ডাঃ দেবী শেঠীকে বিমানবন্দরে গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধি দল।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে এসেই সকল রিপোর্ট দেখেন দেবী শেঠী। এরপর কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করেন চিকিৎসাধীন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে। এরপরই তিনি জানান, তাকে বিদেশে নিতে চাইলে এখনই তার উপযুক্ত সময়। তবে তিনি এও বলেছেন, এখন বাংলাদেশে যে চিকিৎসা চলছে তার চেয়ে বেশি ইউরোপ-আমেরিকাতেও সম্ভব নয়। দেশে ভিজিটরের চাপ কিংবা অবস্থা অবনতির বিষয়টি মাথায় রেখে তাকে এখনই বিদেশ পাঠানো যেতে পারে।
ওবায়দুল কাদেরকে দেখার পর ডাঃ শেঠী এ মন্তব্যের কথা সংবাদ সম্মেলনে জানান উপাচার্য ডাঃ কনক কান্তি বড়ুয়া। উপাচার্য বলেন, শুরুতে ডাঃ দেবী শেঠী সেতুমন্ত্রীর করা সব রিপোর্ট দেখেন। এনজিওগ্রাম দেখার পর কিছুক্ষণের জন্য তাকে পর্যবেক্ষণে রাখেন। পরে তিনি (ডাঃ শেঠী) বলেন, তার যা চিকিৎসা প্রয়োজন সবটাই করা হয়েছে। এর চেয়ে বেশি চিকিৎসা ইউরোপ-আমেরিকাতেও হয় না। এখন চাইলে আপনারা তাকে শিফট করতে (দেশের বাইরে) পারেন। সেতুমন্ত্রীর স্ত্রী ইশরাতুন্নেসা কাদেরকে উদ্দেশ্য করে ডাঃ শেঠী বলেন, ‘ইউ আর ভেরি লাকি (আপনি খুবই ভাগ্যবান) যে তার চিকিৎসার জন্য যা যা করণীয় তার সবই এখানে করা হয়েছে। এখন আপনারা যে কোন সময় তাকে দেশের বাইরে নিতে পারেন।’
ডাঃ কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, আমাদের এখানে চিকিৎসা ভাল হচ্ছে তা ডাঃ দেবী শেঠীও বলেছেন। তবে সরকার প্রধানের পক্ষ থেকে দেবী শেঠীকে নিয়ে আসার একটি নির্দেশনা ছিল। যে কারণে তিনি এসেছেন। তিনি নিজেই একটি নিজস্ব প্লেনে করে চলে আসেন।
এদিকে দেবী শেঠী এসেছেন-এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রোগী, তাদের স্বজনদের মধ্যে তাকে দেখার জন্য ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে হাসপাতালে কার্ডিওলজি বিভাগের অনেক রোগীর স্বজন শেঠীকে খুঁজতে থাকেন। ‘ভাই, ডক্টর দেবী শেঠী কোথায়? একটু কথা বলতাম। আমার এক রোগী ভর্তি আছে। তিনি কি ভেতরে আছেন, একটু দেখিয়ে দেবেন শেঠীকে? ওনার সঙ্গে একটু কথা বলতে চেয়েছিলাম’ দেবী শেঠীকে দেখার জন্য ছিল এমনই অভিব্যক্তি।
উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া বলছিলেন, দেবী শেঠী আসার খবরে হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর স্বজন সংবাদ সম্মেলন চলাকালে বারবার জিজ্ঞেস করতে থাকেন, শেঠী কোথায়? আমার এক রোগী আছেন ভর্তি। এত বড় চিকিৎসক, একটু কথা বলতাম।
এর মাঝখানে কেউ একজন তার প্রশ্ন শুনে ও পরিস্থিতি বুঝে বলে ওঠেন, উনিতো (দেবী শেঠী) ওবায়দুল কাদেরকে দেখেই চলে গেছেন। আর বিষয়টি শুনে ওই স্বজনের মন খারাপ হয়ে যায়। শুধু বিএসএমএমইউ’র নয়, শেঠীর আসার খবরে তাকে দেখতে ছুটে আসেন উল্টোদিকে থাকা বারডেম হাসপাতালের বেশ কয়েকজন রোগীর স্বজনও।
বিমানবন্দরেই দেবী শেঠীর ভিসা, নজির ॥ দেবী শেঠীর বাংলাদেশে যাওয়ার প্রক্রিয়াটা কিন্তু সহজ ছিল না। এক রাষ্ট্র থেকে আরেক রাষ্ট্রে যাবেন দেবী শেঠী, ভিসা তো লাগবেই। বাংলাদেশে যেতে হবে সেটা দেবী শেঠী জেনেছেন সোমবার ভোরে। দেবী শেঠী থাকেন ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে। ভোর থেকেই তাকে বাংলাদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তুমুল ব্যস্ততার মধ্যে পড়েন কলকাতার উপ-হাইকমিশনের কর্মকর্তারা।
প্রথমবার নিয়মের উর্ধে উঠে কনস্যুলার মনসুর আহমেদ বিমানবন্দরে গিয়ে বাংলাদেশের ভিসা প্রসেসের সব কাজ সম্পন্ন করেন। এমন ঘটনা কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের জন্যই ইতিহাসে প্রথম। কনস্যুলার মনসুর আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, কাকডাকা ভোরে বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে ফোন আসে উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসানের কাছে। এরপরই শুরু হয় ব্যস্ততা। উপ-হাইকমিশনের প্রধান তখনই জানান তৃতীয় সচিব কন্স্যুলার শেখ শাফিন হককে। শুরু হয় প্রক্রিয়া। শেখ শাফিন সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করেন আমার সঙ্গে। ঘুম ঘুম চোখেই আমি ব্যাঙ্গালুরুতে যোগাযোগ করি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠীর সঙ্গে। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ১৫ মিনিট অবধি টেলিফোনে বাংলাদেশ সরকার ও দেবী শেঠীর কলকাতার ডিরেক্টরের সঙ্গে আলাপ চলে। কথা হয় দেবী শেঠীর সঙ্গেও।
কনস্যুলার মনসুর আহমেদ আরও বলেন, দেবী শেঠীর ভিসা সংক্রান্ত ফরম পূরণ অনলাইনে আমরাই করি। কিন্তু পাসপোর্ট ওনার সঙ্গে। তাই প্রটোকল ভেঙ্গে ছুটে যাই কলকাতা বিমানবন্দরে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের ব্যাঙ্গালুরু থেকে আসার অপেক্ষা করতে থাকি। দেবী শেঠী স্থানীয় সময় ৮টা ৩০ মিনিটে ব্যাঙ্গালুরু থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। আমরা অপেক্ষায় থাকি তার অবতরণের জন্য। ১০টা ৩০ মিনিটের কিছু পরে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন দেবী শেঠী। ততক্ষণে উপ-হাইকমিশনের পক্ষ থেকে সমস্ত কাজ এগিয়ে রাখি। মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে পাসপোর্টে দেয়া হয় ভিসার সিল। বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ ফ্লাইটে ১২টার দিকে দেবী শেঠীকে তুলে দেয়া হয়।
তিনি বলেন, প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দেবী শেঠী ঢাকায় পৌঁছেন ১২টা ৪৭ মিনিটে। দ্রুততম সময়ে ঢাকায় তার পৌঁছার কৃতিত্ব আমার একার নয়। পুরো উপ-হাইকমিশনের কর্মীদের। বিশেষ করে জাহিদ হোসেন, আলম ও তৃতীয় সচিব কনস্যুলার শেখ শাফিন হকের।
কে এই দেবী শেঠী ॥ তার পুরো নাম ডাঃ দেবী প্রসাদ শেঠী। তিনি ভারতের কর্নাটক রাজ্যের দক্ষিণ কনাডা জেলার কিন্নিগলি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা হৃদরোগ চিকিৎসা কেন্দ্র ব্যাঙ্গালুরুর নারায়না ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সেসের প্রতিষ্ঠাতা। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ডাঃ শুভ দত্তের পশ্চিমবঙ্গের সিকে বিরলা হাসপাতালের ক্যাথল্যাব প্রধান।
ডাঃ শেঠী নয় ভাই-বোনের মধ্যে অষ্টম। মেডিক্যালে পঞ্চম গ্রেডে পড়ার সময় তৎকালীন দক্ষিণ আফ্রিকার জনৈক সার্জন কর্তৃক বিশ্বের প্রথম হৃৎপি- প্রতিস্থাপনের কথা শুনে কার্ডিয়াক সার্জন হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। দেবী শেঠী ১৯৮২ সালে কস্তুরবা মেডিক্যাল কলেজ থেকে চিকিৎসাবিদ্যায় গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। পরে ইংল্যান্ড থেকে সার্জারি বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী নেন। ১৯৮৯ সালে লন্ডনের উচ্চাভিলাষী চাকরির লোভ ত্যাগ করে ভারতে ফিরে আসেন। এসে ডাঃ রায়ের সঙ্গে কলকাতায় গড়ে তোলেন ভারতের প্রথম হৃদরোগ চিকিৎসা হাসপাতাল ‘বিএম বিরলা হার্ট রিসার্চ সেন্টার’।
ভারতীয়দের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা ইউরোপিয়ানদের তুলনায় তিনগুণ বেশি হওয়ায় একটি হাসপাতাল যথেষ্ট ছিল না। এ জন্য ডাঃ দেবী শেঠী ও ডাঃ রায় মিলে আরও তিনটি হৃদরোগ চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে তোলেন। বিএম বিরলা হার্ট সেন্টার যাত্রা শুরুর অল্প দিনের মধ্যে ভারতের শ্রেষ্ঠ হার্ট হাসপাতালের একটিতে পরিণত হয়।
তিনি ১৯৯১ সালে ৯ দিন বয়সী শিশু রনির হৃৎপিন্ড অপারেশন করেন, যা ভারতবর্ষের ইতিহাসে প্রথম সফল শিশু হৃৎপিন্ডে অস্ত্রোপচার। এ ছাড়া তিনি কলকাতায় মাদার তেরেসার ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবেও কাজ করেছেন।
কিছুদিন পর তিনি ব্যাঙ্গালুরুতে চলে যান এবং মনিপাল হার্ট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ১৫ হাজারের বেশি কার্ডিয়াক সার্জারি করেছেন।
ডাঃ দেবী শেঠীকে বলা হয় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ১০ জন চিকিৎসকের একজন। ভারতীয় হিসেবে তিনি ১ নম্বর। তিনি ১৯৯৭ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত চার হাজার শিশুর সফল হার্ট সার্জারি সম্পন্ন করেন। লন্ডনের গাইস হাসপাতলে হার্ট সার্জন হিসেবে বিশেষ প্রশিক্ষণ নেয়া ডাঃ দেবী শেঠীকে অনেকেই বলেন ‘অপারেটিং মেশিন’। তিনি কম খরচে উন্নত চিকিৎসা দিয়ে ‘পদ্মভূষণ পদক’ লাভ করেন।
দেবী শেঠী যেসব শিশুর হার্ট সার্জারি করেন, তাদের অধিকাংশই গরিব পরিবার থেকে আসা। এদের সবাইকে তিনি বিনামূল্যে চিকিৎসা করেন। অন্যদিকে এ হাসপাতালে এসে যে কোন বয়সের হৃদরোগী অর্থাভাবে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হন না।
আপনি ডাকলেই চলে আসব- প্রধানমন্ত্রীকে দেবী শেঠী ॥ দেশে চলে যাওয়ার আগে বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন ডাঃ দেবী শেঠী। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত হয়। এ সময় দেবী শেঠী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেন, ‘বিএসএমএমইউর চিকিৎসকরা আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী ওবায়দুল কাদেরকে সঠিক চিকিৎসা দিয়েছেন। বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং যে কোন সময় যে কোন প্রয়োজনে ডাকলে, অর্ডার দিলে তিনি বাংলাদেশে ছুটে আসবেন বলে জানান।
সাক্ষাৎকালে দেবী শেঠীর সঙ্গে ছিলেন বিএসএমএমইউ’র হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ এস এম মোস্তফা জামান। তিনি জানান, অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেবী শেঠীর সাক্ষাত হয়েছে। গতকাল রাত ১টায় যখন দেবী শেঠীকে আমি প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার কথা জানিয়ে ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে বাংলাদেশে আসার নিমন্ত্রণ জানাই তখন তিনি সম্ভব হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তার ইচ্ছার কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানালে তিনি সম্মতি দেন। সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী দেবী শেঠীকে বলেন, তার জন্য হোটেল বুকিং করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাকে বাংলাদেশে দু-একদিন থেকে বেড়িয়ে দেখার কথা জানান। ডাঃ জামান আরও জানান, স্বল্প সময়ের জন্য বাংলাদেশে এসে এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে বিকেলেই ভারতে ফিরে যান ডাঃ শেঠী। ডাঃ শেঠী নিজস্ব বিমান ফেলকন ২০০০ নিয়ে এসেছিলেন।