২০২০ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষক বদলির আবেদন হবে অনলাইনে

61

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আগামী বছর অর্থাৎ, ২০২০ থেকে প্রাথমিক শিক্ষক বদলির সব আবেদন অনলাইনভিত্তিক হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি পর্যালোচনা সভায় (এডিপি) এ তথ্য জানানো হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয় সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মেহেদী শাহনেওয়াজ জলিল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২০ থেকে প্রাথমিক শিক্ষক বদলির সব আবেদন অনলাইনভিত্তিক হবে।
এছাড়া স্কুল লিভিং ইমপ্রুভমেন্ট প্রোজেক্টের (এসএলআইপি) আওতায় রংপুর ও কুড়িগ্রামে শুরু হচ্ছে শিক্ষকদের বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি। এজন্য ৩২টি সফটওয়্যার সমন্বয় করে কেন্দ্রীয় ডিজিটাল ড্যাশবোর্ড তৈরির কাজ চলছে। এর ফলে ধীরে ধীরে সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
এছাড়াও চর, হাওর ও পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা পৌঁছানোর জন্য ওই এলাকায় বসবাসকারী শিক্ষকদের অগ্রাধিকার, শিক্ষকদের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ এবং প্রয়োজনে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টিও আলোচনা করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, ময়মনসিংহ ও শেরপুর এই ৫টি এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করে এই এলাকাগুলোর শিশুদের শিক্ষা উন্নয়নের জন্য কাজ করা হবে বলেও জানানো হয়।
এডিপি সভায় মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের কাছে কাজের জবাবদিহিতা চেয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, এডিপি বাস্তবায়েনর দিক থেকে সব মন্ত্রণালয়ের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় চতুর্থ অবস্থানে অবস্থান করছে। গত বছরের তুলনায় এবছর একই সময়ে বাস্তবায়নের হারের দিক থেকেও মন্ত্রণালয় ০.৫৬ শতাংশ এগিয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, সংশোধিত এডিপি বাস্তবায়ন করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জবাবদিহি করতে হবে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তরগুলোর প্রধান ও সব প্রকল্পের পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।