সিকৃবিতে সেমিনারে বক্তারা ॥ আমিষের ঘাটতি পূরণে মৎস্য সম্পদের ভূমিকা অপরিসীম

14

আমাদের দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে মৎস্য সম্পদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সারা পৃথিবীতে সাগরকেন্দ্রীক ব্লু ইকোনোমি জোন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চললেও আমাদের দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে সমুদ্রের জলজ সম্পদকে ব্যবহারের পাশাপাশি দেশের আভ্যন্তরীণ জলজ সম্পদ ব্যবহারের মাধ্যমে মৎস্য সম্পদের ঘাটতি পূরনের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানী করা সম্ভব। মঙ্গলবার সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের কনফারেন্স রুমে “Mainstreaming Small-Scale Fisheries in Sustainable Development Agenda” শীর্ষক সেমিনারে আলোচকবৃন্দ এসব কথা বলেন। উক্ত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কানাডার মেমরিয়াল ইউনিভার্সিটি অফ নিউফাউন্ডলেন্ড এর প্রফেসর ড. রাতানা চুয়ানপাগদি। উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহমুদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এবং মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদীয় ডিন প্রফেসর ড. মোহাঃ তরিকুল আলম এর সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক প্রফেসর ড. মো: আবুল কাশেম, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) প্রফেসর ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ, পরিচালক (সাউরেস) প্রফেসর ড. মো: শহীদুল ইসলাম প্রমুখ। সেমিনারে আলোচকবৃন্দ বলেন, ক্ষুদ্র পরিসরে স্থাপিত মৎস্য খামারসমূহে বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী সহায়তার মাত্র শতকরা ২৬ ভাগ প্রদান করা হয়ে থাকে। অথচ এই খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হলে আমিষের ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব। আমাদেরকে এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে মৎস্য খাতকে গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। তারা বলেন মোট প্রোটিনের শতকরা ৬০ ভাগ আসে মৎস্য খাত থেকে। দিনব্যাপী সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদীয় ডিন, শিক্ষকবৃন্দ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। বিজ্ঞপ্তি