সমন জারির পরও শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে চলছে বাণিজ্য মেলার কাজ

22

শাহী ঈদগাহ শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে আদালতের সমন জারির পরও কোনো জবাব না দিয়ে তড়িঘড়ি করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার কাজ করছেন সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের আয়োজকরা। আদালতের শোকজের জবাব না দিয়ে কাজ করায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন মেলা কর্তৃপক্ষ আদলতকে অবমাননা করছেন।
মঙ্গলবার সরেজমিনে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা যায়- মাঠে ইট বিছানোর কাজ চলছে। মাঠের পশ্চিমে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের পাশ ঘেসে নির্মাণ করা হচ্ছে অস্থায়ী টয়লেট। মাঠের চারিদিকে মাটি গর্ত করে তৈরী করা হচ্ছে অস্থায়ী দোকান কোঠার কাজ।
গত ৬ ফেব্র“য়ারী সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ৫ম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা বন্ধের জন্য জনস্বার্থে সিনিয়র সহকারী জজ সদর আদালতে নগরীর খাসদবীরের বাসিন্দা সৈয়দ ইয়ারব আলী বাপ্পী মামলা দায়ের করেন। স্বত্ব মামলা নম্বর-১৯/২০১৯। পাশাপাশি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে মেলা বন্ধের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়।
এ সময় আদালত সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ৫ম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজকদের ৭ দিনের শোকজ করেন।
বাদী দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ৩৯ নম্বর আদেশের ১ নম্বর নিয়ম মতে একটি আবেদনের বর্ণিত কারণে বিবাদী সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি হাসিন আহমদ, মেলার সমন্বয়কারী ও সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সদস্য এম. এ মঈন খান বাবলুর বিরুদ্ধে অন্তবর্তীকালীণ আদেশসহ এক অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন।
আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত আয়োজকদের বিরুদ্ধে কেনো অস্থায়ী নিষেদাজ্ঞার আদেশ প্রদান করা হবে না মর্মে নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট সৈয়দ তুজাম্মুল আলী বলেন- মেলা বন্ধের জন্য জনস্বার্থে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে (সদর) স্বত্ব মামলা দায়ের ও বিবাদী পক্ষ সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি হাসিন আহমদ, মেলার সমন্বয়কারী ও সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সদস্য এম. এ মঈন খান বাবলু সমন জারি করে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে শাহী ঈদগাহর এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান- এই মাঠে আমরা খেলা চাই মেলা চাইনা। এই মাঠ নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখছি আদালতে মামলা হয়েছে। আদালত মেলা আয়োজকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। তারা আদালতে জবাব না দিয়ে প্রভাবশালী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে গায়ের জোরে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে সিনিয়র এডভোকেট এ.এইচ.ইরশাদুল হক জানান- প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শোকজ মানেই অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা। বিবাদী পক্ষের উচিত তাদের কার্যক্রম বন্ধ রেখে আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আদালতের নির্দেশ মানা।
সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি হাসিন আহমদের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বিজ্ঞপ্তি