কানাইঘাটে ৫টি জলমহালের কর্তৃত্ব নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা, গ্রেফতার ৯

110

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট উপজেলার ৮নং ঝিঙ্গাবাড়ী ইউপির ঢাকনাইল দক্ষিণ, ভাটরকোনা, আমরপুর গোয়ালজুর, গর্দনাকান্দি ও দিগর নয়ামাটি, ফখরচটি সহ ১১টি গ্রামের যৌথ ইজমালী সম্পত্তি হাওরে অবস্থিত ৫ টি জলমহালের কর্তৃত্ব নিয়ে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। এনিয়ে গত সোমবার সকালে গোয়ালজুর গ্রামের আব্দুল লতিফ গংরা ফখরচটি গ্রামের আব্দুল মতিন কে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনার জের ধরে গত বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে জলমহালের কর্তৃত্ব নিয়ে এলাকায় বড় ধরনের পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষের প্রস্তুতিকালে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আহাদের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ৯ জন কে গ্রেফতার করেন।
জানা যায় জলমহালের দখল ও টাকার হিসাব নিকাশ নিয়ে ১১টি গ্রামের লোকজন বেশ কিছু দিন থেকে দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়েন। জলমহালের দখল ও হিসাব নিকাশ নিয়ে পাল্টাপাল্টি এলাকায় আদিপত্য বিস্তার ও সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে কানাইঘাট থানায় পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে থানার সেকেন্ড অফিসার স্বপন চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন। এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে তিনি জানান। স্থানীয়রা জানিয়েছেন হাওরে অবস্থিত ১১টি গ্রামের ইজমালী সম্পত্তি ৫টি জলমহালের সমস্ত হিসাব নিকাশের টাকা ফখরচটি গ্রামের হাজী আব্দুল জলিলের কাছে রয়েছে। বিলের টাকার হিসাব জমা দেওয়া সহ উন্মুক্ত ভাবে এলাকার লোকজন ৫টি জলমহাল ভোগ দখল নিয়ে গোয়ালজুর গ্রামের আব্দুল লতিফ পক্ষের লোকজনের সাথে আরো কয়েকটি পক্ষের মতবিরোধ সৃষ্টি হলে এনিয়ে বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেকোন সময় এনিয়ে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয় এলাকাবাসী আশংকা করছেন।