ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৩ বাংলাদেশি উদ্ধার

104
ইন্দোনেশিয়ায় উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশী নাগরিকরা।

কাজিরবাজার ডেস্ক :
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে ১৯৩ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে দেশটির পুলিশ। সুমাত্রার মেইদেন এলাকার এক ভবন থেকে বন্দি অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়। মানবপাচারকারীরা তাদের মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে বন্দি করে রেখেছিল বলে ইন্দোনেশীয় পুলিশের ভাষ্য।
ইন্দোনেশিয়ার অভিবাসন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাচারকারীরা এসব ব্যক্তিকে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর লোভ দেখানো সুমাত্রার মেইদেনে বন্দি করে রেখেছিল। তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে। তবে এসব ব্যক্তি কিভাবে ইন্দোনেশিয়া গেছেন তা জানা যায়নি।
তবে সুমাত্রার অভিবাসন প্রধান পেরি মোনাং সিহিত জানান, বাংলাদেশি এসব নাগরিক পর্যটক ভিসা নিয়ে যোগজাকার্তা ও বালি হয়ে ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশ করে। তারা কাজের খোঁজে মালয়েশিয়া যাবার চেষ্টা করছিল। মালয়েশিয়ায় যাওয়ার আশা ছিল তাদের। কিন্তু তারা মানবপাচারের শিকার এবং সুমাত্রায় এসে ফাঁদে পড়েছিল।
এসব বাংলাদেশিকে সুমাত্রার মেইদেন এলাকায় বন্দি করে রেখেছিল মানবপাচারকারীরা। মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় সূত্রে সন্ধান পাওয়ার পর তাদের সবাইকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে অভিবাসী আটক কেন্দ্রে নেওয়া হয়। তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
এদিকে মাহবুব নামের একজনকে উদ্ধৃত করে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ট্রিবান মেইদেন এক প্রতিবেদনে বলেছে, এসব বাংলাদেশিদের কেউ কেউ তিন মাসের বেশি সময় ধরে বন্দি। তারা মালয়েশিয়া যেতে জাহাজে করে যাত্রা করে বালি পৌঁছায়। পরে সড়কপথে বাসে করে তাদের সুমাত্রায় আনা হয়।
ওই সংবাদমাধ্যম আরো জানায়, স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে খবর পেয়েই কর্তৃপক্ষ এসব বাংলাদেশিদের উদ্ধারে সমর্থ হয়। সন্দেহজনক চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দ শুনে স্থানীয়রা কর্তৃপক্ষকে জানায়।
উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে সাগরপথে মালয়েশিয়া মানবপাচারের খবর গণমাধ্যমে নিয়মিত সংবাদ ছিল। বাংলাদেশের সমুদ্রোপকূল থেকে নানা চক্র মালয়েশিয়া পাঠানোর নামে বিপুল টাকা হাতিয়ে নেয় বলেও গণমাধ্যমে ওঠে আসে। সরকারের কঠোর পদক্ষেপে এখন আর তেমন খবর আসে না। এরই মধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় এতসংখ্যক বাংলাদেশি উদ্ধারের খবর এল।
অন্যদিকে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্বিচারে হত্যা-নির্যাতনের পরিপ্রেক্ষিতে রোহিঙ্গারা সাগরপথে ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়ায় যেতে শুরু করে। দেশ দুটি নিপীড়িত এ জনগোষ্ঠীর সদস্যদের শরণার্থীর মর্যাদা দেয়। যদিও ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবারের আটককৃতরা রোহিঙ্গা নয় বলে জানিয়েছে।