ফাইনালে ঢাকা ডায়নামাইটস

47

স্পোর্টস ডেস্ক :
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসাবে ফাইনালে উঠল ঢাকা ডায়নামাইটস। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বুধবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে মাশরাফিদের ৫ উইকেটে হারিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ফাইনাল ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হবে ঢাকা ডায়নামাইটস।
বিপিএলে গত পাঁচ আসরের মধ্যে অধিনায়ক হিসাবে চারবার শিরোপা জিতেন মাশরাফি। এবার দ্বিতীয়বারের মতো তিনি ফাইনালে খেলবেন না। অন্যদিকে, ঢাকা এবার পঞ্চমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে। গত পাঁচ আসরের মধ্যে তিনবার শিরোপা ঘরে তুলে ঢাকা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে রংপুর রাইডার্সের দেয়া ১৪৩ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৬.৪ ওভারে ৫ উইকেটে জয় তুলে নেয় ঢাকা ডায়নামাইটস। দলের পক্ষে ১৯ বলে ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন আন্দ্রে রাসেল। ২৪ বলে চারটি চারের সাহায্যে ৩৫ রান করেন রনি তালুকদার। ২০ বলে ২৩ রান করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। রংপুর রাইডার্সের পক্ষে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ২টি উইকেট নেন। এছাড়া নাজমুল ইসলাম অপু ১টি ও বেনি হাওয়েল ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই ওপেনিং জুটি ভাঙে ঢাকার। মাশরাফির বলে নাহিদুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন থারাঙ্গা। চতুর্থ ওভারে অপুর বলে রুশোর হাতে ধরা পড়েন অপর ওপেনার নারিন। নবম ওভারে সাকিবকে বোল্ড করেন হাওয়েল। ১১তম ওভারে মাশরাফির বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন পোলার্ড। এই ওভারেই রান আউট হয়ে ফিরে যান রনি তালুকদার। এরপর সোহান ও রাসেল জুটি বেঁধে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে ১৪২ রানে অলআউট হয় রংপুর রাইডার্স। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন রবি বোপারা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন মোহাম্মদ মিথুন। ১২ বলে ২৭ রান করেন নাদিফ চৌধুরী। ঢাকা ডায়নামাইটসের পেসার রুবেল হোসেন ৩.৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া আন্দ্রে রাসেল ২টি, কাজী অনিক ২টি, শুভাগত হোম ১টি ও সাকিব আল হাসান ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
রংপুর ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই পরপর তিন বলে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে। শুভাগত হোমের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকান নাদিফ। ষষ্ঠ বলে আবারও তুলে মারেন তিনি। কিন্তু এবার ডিপ মিডউইকেটে পোলার্ডের হাতে ক্যাচ হন নাদিফ।
চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে আসেন রুবেল হোসেন। ওভারের প্রথম বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন গেইল। দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে পোলার্ডের হাতে ধরা পড়েন রুশো। এক বল খেলে কোনো রান না করেই ফিরে যেতে হয় রুশোকে। এই ওভারে দুই উইকেট নিয়ে কোনো রান দেননি রুবেল।
এরপর ৬৪ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ মিথুন ও রবি বোপারা। ১৪তম ওভারে কাজী অনিকের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন মিথুন। এর পরপরই ফিরে যান বেনি হাওয়েল। ১৫তম ওভারে সাকিবের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। ১৬তম ওভারে অনিকের বলে রাসেলের হাতে ক্যাচ হন মাশরাফি। এরপর ১৮তম ওভারে নাহিদুল, ১৯তম ওভারে ফরহাদ রেজা ও শফিউল ইসলাম এবং ২০তম ওভারে আউট হন রবি বোপারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফল: ৫ উইকেটে জয়ী ঢাকা ডায়নামাইটস।
রংপুর রাইডার্স ইনিংস: ১৪২ (১৯.৪ ওভার)
(ক্রিস গেইল ১৫, নাদিফ চৌধুরী ২৭, মোহাম্মদ মিথুন ৩৮, রাইলি রুশো ০, রবি বোপারা ৪৯, বেনি হাওয়েল ৩, মাশরাফি বিন মর্তুজা ০, নাহিদুল ইসলাম ৪, ফরহাদ রেজা ২, শফিউল ইসলাম ০, নাজমুল ইসলাম অপু ০*; আন্দ্রে রাসেল ২/৩১, রুবেল হোসেন ৪/২৩, শুভাগত হোম ১/১৮, সাকিব আল হাসান ১/২৯, সুনিল নারিন ০/১৮, কাজী অনিক ২/২১)।
ঢাকা ডায়নামাইটস ইনিংস: ১৪৭/৫ (১৬.৪ ওভার)
(উপুল থারাঙ্গা ৪, সুনিল নারিন ১৪, রনি তালুকদার ৩৫, সাকিব আল হাসান ২৩, কাইরন পোলার্ড ১৪, নুরুল হাসান সোহান ৯*, আন্দ্রে রাসেল ৪০*; মাশরাফি বিন মর্তুজা ২/৩২, ফরহাদ রেজা ০/১৩, নাজমুল ইসলাম অপু ১/৪৭, শফিউল ইসলাম ০/২০, নাহিদুল ইসলাম ০/১৬, বেনি হাওয়েল ১/১৭)।
ম্যাচ সেরা: রুবেল হোসেন (ঢাকা ডায়নামাইটস)।