বিপিএল মিশন শেষ সিলেটের

39

স্পোর্টস ডেস্ক :
চিটাগং ভাইকিংসকে হারিয়ে এবারের বিপিএল মিশন শেষ করল সিলেট সিক্সার্স। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) শুক্রবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসকে ২৯ রানে হারিয়েছে অলক কাপালির দল। লিগ পর্বে দুই দলেরই শেষ ম্যাচ ছিল এটি। চট্টগ্রামের এর আগে প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে থাকায় তারা টুর্নামেন্টে টিকে আছে। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি প্লে-অফ ম্যাচ খেলবে মুশফিকুর রহিমের দল।
লিগ পর্বে ১২ ম্যাচ খেলে চট্টগ্রাম সাতটিতে জিতেছে ও পাঁচটিতে হেরেছে। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে চট্টগ্রাম এখন আছে তৃতীয় অবস্থানে। অন্যদিকে, সিলেটের আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে ছিল। ১২ ম্যাচ খেলে সিলেট জয় পেয়েছে পাঁচটিতে, হেরেছে সাতটিতে। ১০ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে থেকে বিপিএল শেষ করল সিলেট সিক্সার্স।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে সিলেট সিক্সার্সের দেয়া ১৬৬ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৮.৩ ওভারে ১৩৬ রান সংগ্রহ করে অলআউট হয়চিটাগং ভাইকিংস। দলের পক্ষে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ৩২ বলে তিনটি চার ও তিনটি ছক্কার সাহায্যে ৪৮ রান করেন। ১৫ বলে দুইটি চার ও দুইটি ছক্কার সাহায্যে ২৫ রান করেন মোসাদ্দেক হোসেন। ২৭ রান করেন ইয়াসির আলী। সিলেট সিক্সার্সের পক্ষে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন ইবাদত হোসেন। এছাড়া তাসকিন আহমেদ ১টি, ওয়েনি পারনেল ২টি, মোহাম্মদ নওয়াজ ১টি ও অলক কাপালি ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
সিলেট ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে। প্রথম ওভারেই ফিরে যান ওপেনার আশরাফুল। দ্বিতীয় ওভারে ফেরেন অপর ওপেনার দেলপোর্ট। এরপর স্বপ্ন দেখাতে থাকে মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলীর জুটি। অষ্টম ওভারে ভাঙে এটি জুটি। ফিরে যান ইয়াসির আলী।
দলীয় ৮০ রানে মোসাদ্দেক ও ৯৬ রানে সিকান্দার রাজা ফিরে যান। দলের রান যখন ১১০ তখন রান আউট হন মুশফিকুর রহিম। এখানেই মূলত চট্টগ্রামের জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। ১৮তম ওভারে দাসুন শানাকা ও ভিলজোয়েনকে ফেরান ইবাদত হোসেন। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আবু জায়েদ রাহিকে ও তৃতীয় বলে খালেদ আহমেদকে বোল্ড করেন ওয়েনি পারনেল।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে সিলেট সিক্সার্স। দলের পক্ষে আন্দ্রে ফ্লেচার হাফ সেঞ্চুরি করেন। ৫৩ বলে ছয়টি চার ও দুইটি ছক্কার সাহায্যে ৬৬ রান করেন তিনি। ২৫ বলে দুইটি চার ও দুইটি ছক্কার সাহায্যে ৩২ রান করেন সাব্বির রহমান। ১৯ বলে দুইটি চার ও তিনটি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ রান করেন মোহাম্মদ নওয়াজ। চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে চার ওভারে ২৯ রান দিয়ে চারটি উইকেট নেন হার্ডাস ভিলজোয়েন। এছড়া নাঈম হাসান নেন একটি উইকেট।
সিলেট ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ওপেনার আফিফ হোসেনকে হারায়। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ভিলজোয়েনের বলে ইয়াসির আলীর হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৫ বল খেলে আফিফ করেন ১ রান। পঞ্চম ওভারে জ্যাসন রয়ও ভিলজোয়েনের বলে ইয়াসিরের হাতে ক্যাচ হন।
১৩তম ওভারে নাঈম হাসানকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানার কাছে সিকান্দার রাজার হাতে ধরা পড়েন সাব্বির রহমান। এরপর মোহাম্মদ নওয়াজ নেমে ঝড়ো ব্যাটিং করে দলকে এগিয়ে দেন। ১৯তম ওভারে দুইটি উইকেট শিকার করেন ভিলজোয়েন। ওভারের তৃতীয় বলটি তুলে মারেন নওয়াজ। সীমানার কাছ থেকে ক্যাচটি ধরে ফেলেন নাঈম হাসান। চতুর্থ বলে ইয়াসিরের হাতে ক্যাচ হন ফ্লেচার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফল: ২৯ রানে জয়ী সিলেট সিক্সার্স।
সিলেট সিক্সার্স ইনিংস: ১৬৫/৫ (২০ ওভার)
(ফ্লেচার ৬৬, আফিফ ১, জ্যাসন রয় ১১, সাব্বির ৩২, মোহাম্মদ নওয়াজ ৩৪, জাকের আলী ৮*, ওয়েনি পারনেল ২*; রাহি ০/৪৮, ভিলজোয়েন ৪/২৯, খালেদ ০/২০, শানাকা ০/২৩, দেলপোর্ট ০/২৬, নাঈম হাসান ১/১৪)।
চিটাগং ভাইকিংস ইনিংস: ১৩৬ (১৮.৩ ওভার)
(দেলপোর্ট ২, আশরাফুল ০, ইয়াসির আলী ২৭, মুশফিকুর রহিম ৪৮, মোসাদ্দেক হোসেন ২৫, সিকান্দার রাজা ৫, দাসুন শানাকা ৭, হার্ডাস ভিলজোয়েন ১৫, নাঈম হাসান ০*, রাহি ৫, খালেদ ০; তাসকিন ১/১০, ইবাদত হোসেন ৪/১৭, ওয়েনি পারনেল ২/২২, মোহাম্মদ নওয়াজ ১/৩৪, অলক কাপালি ১/২৫, নাবিল সামাদ ০/২৮)।
ম্যাচ সেরা: ইবাদত হোসেন (সিলেট সিক্সার্স)।