নবীগঞ্জে গভীর রাতে গুলি ছুঁড়ে দোকানঘর ও সীমানা প্রাচীর ভাংচুর, এলাকায় উত্তেজনা

32
সীমানা প্রাচীর ভাংচুরের চিত্র।

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বুরহানপুুর গ্রামে রাতের আঁধারে গোলাগুলি করে জনমনে আতংক ছড়িয়ে সরকারী লিজ নেয়া দখলকৃত জায়গায় নির্মিত দোকানঘর ও সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, কয়েক বছর পূর্বে সরকারী জায়গা লিজ নিয়ে সেই জায়গার উপর ঘর নির্মাণ করেন বুরহানপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের পুত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল বাছিত। এ জায়গাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের মৃত কলমদর মিয়ার পুত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসী জাকির হোসেন সাথে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল বাছিত এর বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে অনুমান দেড়াইটার দিকে কে বা কারা রাতের আধারে আব্দুল বাছিত মিয়ার নির্মাণাধীন দোকান ঘর ও সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে এবং গুলি ছুড়ে চারিদিকে আতংক ছড়ায়। ঘটনার সময় আব্দুল বাছিত যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছিলেন। এঘটনায় এলাকাজুড়ে আতংক বিরাজ করছে। খবর পেয়ে রাতেই তাৎক্ষণিকভাবে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল হোসেন এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল বাছিত মিয়ার চাচাতো ভাই আলী জাহান জানান, কিছুদিন পূর্বে যুক্তরাজ্য প্রবাসী জাকির হোসেনসহ কয়েকজন লোক গ্রামের মুরব্বি সাজ্জাদ মিয়ার কাছে যায় এবং দোকানঘরের জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য বাছিত মিয়াকে জানানোর জন্য বলে। এর সূত্র ধরেই জাকিরসহ প্রায় ২০-২৫জন লোক বন্দুক ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহকারে দোকানঘর সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন বিকট শব্দ শোনে এগিয়ে গেলে চারিদিকে প্রায় ৮-১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতংক ছড়ায় জাকির গংরা। এলাকার বিশিষ্ট মুরুব্বি সাজ্জাদ মিয়া জানান, প্রায় ১৫দিন পূর্বে জাকিরসহ কয়েকজন লোক আমার কাছে আসে এবং ওই জায়গার উপর নির্মিত ঘর সরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে বাছিতকে জানানোর জন্য বলে। আমি বাছিতের লোকজনকে বিষয়টি জানাই এবং বাছিতের লোকজন ঘর সরিয়ে নিতে পারবে না বলে জানায় ঘর যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে।
এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্য প্রবাসী জাকির হোসেন জানান, মাদ্রাসা নির্মাণের জন্য ওই সরকারী জায়গা খালি করে দেয়ার জন্য বার বার পাঞ্চায়েত এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কিন্তু সেটা দেয়নি, আমাকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্য বাছিত মিয়ার লোকজন ওই ঘর ভেঙ্গে এখন আমার উপর দোষ দিচ্ছে, এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই। বাছিত মিয়ার নিজ বাড়িতেও আমার জায়গা আছে কাগজপত্র থাকার পরও সেটাও দখল করে আছে।
নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল হোসেন জানান, জায়গা নিয়ে জাকির ও বাছিতের মাঝে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল এরই জের ধরে বাছিত মিয়ার নির্মাণাধীন ঘর ভাংচুর করা হয়। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন গুলি ছুড়ার বিষয়টি সত্য নয়, রাত্র হওয়ায় ভাঙ্গনের শব্দ বিকট ভাবে ছড়িয়ে পড়ে এতে এলাকায় আতংক ছাড়ায় পরে পুলিশ যাওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এঘটনায় মামলা দায়ের হয়নি তবে প্রস্তুুতি চলছে বলে জানা গেছে।