এসআই রোকন ও তার ভুয়া স্ত্রী ৩ দিনের রিমান্ডে, চাকরী থেকে বরখাস্ত ॥ বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন

67
ফাইল ছবি।

স্টাফ রিপোর্টার  :
নগরীর দাড়িয়াপাড়ায় জোরপূর্বক ইয়াবা সেবনের মাধ্যমে শিশুদের দিয়ে পতিতাবৃত্তি করানোর অভিযোগে গ্রেফতারকৃত পুলিশের এসআই ও তার কথিত স্ত্রীকে ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেটের মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে আসামিদের হাজির করে প্রত্যেকের ৫দিরেন রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত তাদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডকৃতরা হচ্ছে- নগরীর মুন্সিপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল রশিদের পুত্র ও দক্ষিণ সুরমা লালাবাজারস্থ ৭ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এসআই মো. রোকন উদ্দিন ভূঁইয়া (৪০) এবং নেত্রকোনা জেলার কালিয়াজুড়ি থানার আটগাঁও গ্রামের মৃত মফিজুল মিয়ার কন্যা ও রোকেনের কথিত স্ত্রী রিমা বেগম (৩৫)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে মানবপাচার ও মাদক আইনে করা মামলায় আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫দিনের রিমান্ডের আবেদন করি। আদালত তাদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে লালাবাজারস্থ ৭ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এসআই মো. রোকন উদ্দিন ভূঁইয়া গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে ৭ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদীনকে প্রধান করে একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদীন জানান, রোকন ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে মহানগর পুলিশ থেকে বদলি হয়ে লালাবাজারস্থ ৭ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে আসেন।
গত ২৭ জানুয়ারি দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে নগরীর দাড়িয়াপাড়া মেঘনা এ-২৬/১ নং বাসার নীচ তলায় অভিযান চালিয়ে এসআই রোকন উদ্দিন ভূঁইয়া ও রিমা বেগমকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৯। অভিযানকালে তাদের বাসা থেকে ৬০ পিস ইয়াবা ও তাদের কাছে বন্দি থাকা দুই শিশুকে উদ্ধার করে র‌্যাব। পরে দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।