একাদশ জাতীয় সংসদের আজ যাত্রা শুরু ॥ ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি

98
জাতীয় সংসদ ভবন।

কাজিরবাজার ডেস্ক :
জয়-পরাজয়ের ব্যবধানে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড সৃষ্টিকারী একাদশ জাতীয় সংসদের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হচ্ছে আজ। বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে নবগঠিত এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতেই স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকার নির্বাচন হবে। অধিবেশনের প্রথম দিন আজ বুধবার সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। অতীতের ধারাবাহিকতায় এই সংসদ আরও বেশি কার্যকর হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
একাদশ জাতীয় সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারী দল ও মাত্র ২২টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা। সংসদ অধিবেশনকে ঘিরে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সংসদ সচিবালয়। সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে কার্যোপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে প্রথম অধিবেশনের স্থায়িত্বকাল নির্ধারণ করা হবে। বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মোট ৮ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও তারা এখনও শপথ নেননি। এ কারণে বিএনপির নেতৃত্বাধীন এই জোট আজকের অধিবেশনে থাকছে না। অন্যদিকে নির্বাচনে অংশ নিলেও জামায়াত তথা কোন স্বাধীনতাবিরোধী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেনি। ফলে একাদশ জাতীয় সংসদকে ‘রাজাকারমুক্ত সংসদ’ বলছেন কেউ কেউ।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, আজ বুধবার বেলা ৩টায় ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর শোক প্রস্তাব উত্থাপন ও আলোচনা হবে। অধিবেশনের প্রথম দিনে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবন জুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জানান, ৩০ জানুয়ারি থেকে একাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি এই সংসদের মেয়াদ শেষ হবে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সকল সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রথম দিনে ডেপুটি স্পীকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকার নির্বাচনের পর অধিবেশন মূলতবি করা হবে। এরপর নতুন স্পীকার রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ নিয়ে মূলতবি অধিবেশন শুরু করবেন। এরপর অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আগামীতে সংসদে বিস্তারিত আলোচনা হবে। দশম সংসদের মতো এই সংসদেও সরকার ও বিরোধী দল দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবেন এবং সংসদ প্রাণবন্ত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
দশম সংসদে বিরোধী দলের পাশাপাশি সরকারে থাকলেও এবার শুধু বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতোমধ্যে বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচীতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দল দায়িত্ব পালন করবে বলে তিনি জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের নেতা শেখ হাসিনা এই সংসদে চতুর্থবারের মতো সংসদ নেতার দায়িত্ব পালন করবেন। এবার রওশন এরশাদের পরিবর্তে বিরোধী দলের আসনে বসবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের বিরোধী দলীয় উপনেতার দায়িত্ব পালন করবেন।
সূত্র জানায়, নতুন সংসদের প্রথম দিনে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ওপর আনীত শোক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ছাড়াও স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকারের অনুপস্থিতিতে অধিবেশন পরিচালনার জন্য সভাপতিম-লীর সদস্য নির্বাচন করা হবে। এরপর সংসদের সর্বশেষ অধিবেশনের পর রাষ্ট্রপতির জারি করা অধ্যাদেশগুলো সংসদে উত্থাপন করা হবে। সংসদ সচিবালয়ের আইন শাখার দেয়া তথ্যানুযায়ী, এ পর্যন্ত ৫টি অধ্যাদেশ সংসদে উত্থাপনের জন্য ওই দফতরে জমা পড়েছে। অধ্যাদেশগুলো হলো, ‘রিপ্রেজেনটেশন অফ দি পিপল (এ্যামেন্ডমেন্ট) অডিন্যান্স-২০১৮’, ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০১৮’, ‘চিটাগাং হিল ট্রাক্টস (ল্যান্ড ইকুইজেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০১৮’, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন এ্যান্ড এ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ-২০১৮’ এবং ইপিজেড শ্রম অধ্যাদেশ-২০১৯।
গত ৩ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা। এই সংসদে আওয়ামী লীগ ২৫৭টি, জাতীয় পার্টি ২২টি, ওয়ার্কার্স পার্টির তিনটি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)’র দুটি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ-এর দুটি, তরিকত ফেডারেশনের একটি, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু)’র একটি এবং স্বতন্ত্র সদস্যরা তিনটি আসন পেয়েছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৮ জন সদস্য এখনো শপথ নেননি। আর সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া একটি আসনে আগামী মাসে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
রাষ্ট্রপতিকে বরণে প্রস্তুত সংসদ : সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, নতুন সংসদ সদস্যদের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদকে বরণে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সংসদ সচিবালয়। আজ বুধবার অধিবেশনে ভাষণ দেয়া ছাড়াও নতুন স্পীকারকে শপথ পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি। এবারো তিনি রাষ্ট্রপতির জন্য নির্ধারিত প্রেসিডেন্ট প্লাজা দিয়েই সংসদ ভবনে প্রবেশ করবেন। এ কারণে প্রেসিডেন্ট প্লাজা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ওই প্লাজা ধুয়ে-মুছে পরিচ্ছন্ন করার হয়েছে। সেখানে বাসানো হয়েছে বিশেষ সিসি ক্যামেরা। একই সঙ্গে সেখানে অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। সেখানে রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানানোর পরিকল্পণাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভাষণ ও প্রবেশের সময় রেওয়াজ অনুযায়ী বিউগল বাজানোর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে এ বিষয়ে সংসদ ভবনে মহড়াও চলতে দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, অধিবেশনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এজন্য সংসদের ট্যানেল ও ড্রাইভওয়েতে যে কোন ধরনের গাড়ি রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে দর্শনাথীদের মোবাইল বাইরে রেখে প্রবেশ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেকটি মোবাইল বিশেষভাবে পরীক্ষার জন্যও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সংসদের অধিবেশন কক্ষে সংসদ সদস্যদের বসার চেয়ার ঠিক আছে কীনা তা পরীক্ষা করা হয়েছে। অধিবেশন কক্ষের সকল মাইক্রোফোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। অধিবেশন চলাকালে সব লিফট ত্রুটিমুক্ত রাখতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে সংসদ ভবন ফুলসহ বিভিন্ন গাছ দিয়ে সাজানো হয়েছে। অধিবেশন চলাকালে অক্সিজেন সুবিধাসহ সার্বক্ষণিক একটি এ্যাম্বুলেন্স রাখতে বলা হয়েছে। সংসদ লবিতে একজন ডাক্তারসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী থাকবে। এছাড়া সংসদ অধিবেশন ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক সম্পর্কে অবহিত করতে সংসদ সদস্যদের জন্য ‘শর্ট মেসেজ সার্ভিস’ সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, নতুন সংসদের প্রথম দিনের অধিবেশনে প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা, দেশ-বিদেশী কূটনীতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারী কর্মকর্তা এবং ভিআইপিদের আত্মীয় স্বজনসহ ৫ শতাধিক অতিথি উপস্থিত থাকবেন। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে সংগৃহীত তালিকা চূড়ান্ত করে আমন্ত্রণপত্র বিতরণ করা হয়েছে। আমন্ত্রণপত্র ছাড়া কোন অতিথি ওই দিন সংসদে প্রবেশ করতে পারবেন না বলে সংসদের নিরাপত্তা বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে।
মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা একদিকে আসন পাচ্ছেন : একাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশন কক্ষে সদস্যদের আসন বিন্যাসে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে না; তবে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রীরা সবাই একদিকে বসবেন। আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা যাঁরা এবার মন্ত্রী হননি, তারা আগের মতো সামনের সারিতেই বসবেন। আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, সাজেদা চৌধুরী গত সংসদের মতোই প্রধানমন্ত্রীর ডান দিকে বসবেন। আর মন্ত্রীদের প্রধানমন্ত্রীর পেছনের সারিতে রাখা হচ্ছে, তাঁর পেছনে প্রতিমন্ত্রীরা।
জানা গেছে, দশম সংসদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আগে স্পীকারের সামনের দিকে বসলেও এবার তাঁর আসন পরিবর্তন হচ্ছে। তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর ডান দিকে আনা হচ্ছে। প্রথম সারিতে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের আসনে এবার বসছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। আগের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের আসনে আসছেন নতুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রধানমন্ত্রীর ঠিক পেছনের আসনে বসবেন নতুন প্রধান হুইপ। তাঁর পাশে আইনমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বসবেন।
মোহাম্মদ নাসিমসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা সামনের আসনেই বসবেন। আওয়ামী লীগের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন এবং জাসদের হাসানুল হক ইনু গতবারের মতো আগের আসনেই থাকবেন। তাঁরা দুই জন স্পীকারের বাম দিকে বিরোধী দলের আসনের পাশে প্রথম সারিতে বসতেন। তবে এবার বয়সে তরুণ এবং প্রথমবার নির্বাচিত সদস্যদের সবার উপরে আসন দেয়া হচ্ছে। প্রথমবার নির্বাচিতদের মধ্যে যারা বয়সে প্রবীণ, তাঁদের নিচের দিকে আসন দেয়া হচ্ছে।
মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন : একাদশ জতীয় সংসদের অধিবেশন চলাকালে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংসদ বিষয়ক কাজে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীদের দায়িত্ব বণ্টন করে দিয়েছে সরকার। মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর কাজের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী এবং তাদের অনুপস্থিতিতে বিকল্প মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীদের দায়িত্ব বণ্টন করে সোমবার আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং বিকল্প দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের অনুপস্থিতিতে কারা ওইসব মন্ত্রণালয়ের সংসদ সম্পর্কিত কাজ করবেন তাও নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশন চলাকালে দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং বিকল্প দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীদের অনুপস্থিতে কৃষিমন্ত্রী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এবং তাঁর অনুপস্থিতে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সংসদে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রশ্নোত্তর প্রদান এবং সংসদ সম্পর্কিত কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন। মন্ত্রিসভার সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক নিজের মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংসদ অধিবেশনের সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছেন।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক নিজের মন্ত্রণালয় ছাড়াও নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংসদ কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন করবেন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম সংসদ কাজে নিজের মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের দায়িত্বে থাকবেন। আর ডাঃ দীপু মনিকে সংসদ অধিবেশনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।