নবীগঞ্জ শহরের প্রধান সড়কে তীব্র যানজট, ভোগান্তি চরমে

124
নবীগঞ্জ শহরে তীব্র যানজটের দৃশ্য।

ছনি চৌধুরী হবিগঞ্জ থেকে :
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ শহরের ভিতরের মূল সড়কে যত্রতত্র বাস ও সিএনজি, ট্রাক দাঁড় করিয়ে যাত্রী-মালামাল উঠানামা করার ফলে যানজট এখন শহরবাসীর নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্ধারিত কাচামালের দোকানের জন্য ব্যবস্থা থাকলেও তারা সড়কের উপর দোকান পেতে ব্যবসা করছেন। রাস্তার উপর বাস, সিএনজি-ট্রাক দাঁড় করিয়ে যাত্রী ও মালামাল উঠা নামা করে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যানজটের পাশাপাশি পৌর শহরে পানি নিষ্কাশন ও ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকায় অতি বৃষ্টির ফলে জমে থাকা আবর্জনার স্তুপ পচে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। শহরের মধ্যে পানি নিষ্কাশনের কোনো সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেই। এতে করে আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ থাকছে পৌর পরিষদ ও প্রশাসনের কার্যকরিতা এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। শহরের নতুন বাজার আব্দুল মতিন চৌধুরী স্কোয়ার, ওসমানী সড়ক, জে-কে স্কুল রোডের উপর কাঁচামালের হাট বসে। ফলে রিক্সা নিয়ে চলাচলে সমস্যা পোহাতে হয় সাধারণ জনগণকে। নতুন বাজার এলাকায় ওয়ান বাই রোড থাকলেও কোন যানবাহনের ড্রাইভার তা পালন করেন না। পৌর শহরে নেই কোনো গণশৌচাগার। পৌর শহরের কাঁচামাল হাটের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও সে কাঁচামাল হাট ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করেন না। হাট বাজারের দিন নবীগঞ্জ শহরের মধ্যে যত্রতত্র বসে দোকান-পাট। ফলে সাধারণ মানুষদের চলাচলে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হয়। নবীগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জ গামী বাস শহরের নতুন বাজার গাজির টেক (আব্দুল মতিন) স্কোয়ার ট্রাফিক পয়েন্টে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠা-নামা করায় ফলে সারাক্ষণ লেগে থাকে তীব্র যানজট। নবীগঞ্জ বাজার থেকে সরকার প্রতি বছর লাখ-লাখ টাকার রাজস্ব পেলেও দৈন্য দশার হয় না কোনো সমাধান। শহরের নতুন বাজার এলাকায় অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠেছে কাঁচামালের বাজার। ফলে সড়কের পার্শ্বে কোনো জায়গা না থাকায় গাড়িগুলো সড়কের উপর দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠা নামায় লেগে থাকে যানজট। নবীগঞ্জ পৌর শহরের সালামত পুর নতুন বাস ষ্টেশন নির্মাণ হলেও ঐ বাস ষ্টেশন নামে আছে কাজে নেই। এক কাঁচামাল ব্যবসায়ী জানান আমাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান করা হলে আমরা চলে গেলে সেখানে সারদিন বসে ব্যবসা করতে পারবো। আমরা স্থায়ী জায়গা জায়গায় যেতে চাই না। ব্যবসায়ী মুশাহিদ মিয়া বলেন বাজারের যান সমস্যার সমাধান সহ চাই সার্বিক উন্নয়ন। যানজটে আটকে পড়া আজির চৌধুরী নামে এক সিএনজি যাত্রী জানান, নেতাদের ভোট হারানোর ভয়ে যানজট ও অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদে তারা কোনো ধরণের উদ্যোগী ও ভূমিকা রাখছেন না। শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, থানার পয়েন্ট, ওসমানী রোড (উত্তরা ব্যংকের সামন), হাসপাতাল সড়কের খালিক মঞ্জিলের সামন, হাসপাতালের গেইটের নিকট, শেরপুর রোডের রাজা কমপ্লেক্সের সামন, শেরপুর রোডের বাংলা টাউনস্থ ইসলামী ব্যংকের সামন, রুদ্রগ্রাম রোডের সোনার খনি-ব্রীজ পর্যন্ত, এছাড়াও শহরের নতুন বাজার মোড়, প্রায় সময়ই প্রধান সড়কের উপর দাঁড়ানো থাকে সারি সারি ছোট বড় গাড়ী। এ সময় পথচারীদের চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। আইনশৃংখলা মিটিংয়ে যানজট সমাধানে একাধিক বার তাগিদ দেয়া সত্ত্বেও পৌর কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের নীরবতায় হতাশা দেখা দিয়েছে জনসাধারণের মাঝে। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী বলেন, নবীগঞ্জ শহরের যানজট স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা চলছে। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ বিন হাসান বলেন যানজট নিরসনের জন্য ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীদের অভিযান চালিয়ে তোলা হবে।