গোলাপগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় আরো একজনের মৃত্যু

105
প্রতিকী ছবি।

সেলিম হাসান কাওছার গোলাপগঞ্জ থেকে :
মৃত্যুর কাছে হার মানতে হয়েছে গোলাপগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত জকিগঞ্জের রাজমিস্ত্রি ইফজাল আহমদ (৪৫)কে। টানা ১১দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে তাকে না ফেরার দেশেই চলে যেতে হয়েছে। তাকে বাঁচানোর জন্য স্বজনরা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থা কিছুটা ভাল হলে ঢাকা থেকে তাকে আবার সিলেট আল-হারামাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২০ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯টায় সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ২১ জানুয়ারি যোহরের নামাজের পর ঘাটের বাজার শাহী ঈদগাহ মাঠে তার জানাযা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। নিহত ইফজাল জকিগঞ্জ উপজেলার শাহবাগ ইউপির নুননগর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ঠিকাদার ছিলেন। ১ ছেলে ও ৩ কন্যা সন্তানের জনক। আফজালের মৃত্যুর ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নিহতের স্ত্রী ও কন্যা শিশুরা। জ্ঞান ফিরার পর থেকে স্বজনদের ধারণা ছিল সে বেঁচে উঠবে। আশার আলো দেখছিল পরিবারের লোকজনও। তাই তারা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠায়। বাবা হারা সন্তানরা ডুকরে ডুকরে কাঁদছে। কেউ তাদের সান্ত্বনা দিতে পারছেন না। ইফজালের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মৃত্যুর দোয়ার থেকে ফিরে আসা জকিগঞ্জ উপজেলার মইনপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে রাজমিস্ত্রি এহিয়া। এ সময় সে নিহতের স্বজনদের দুঃখের বিষয়টি তুলে ধরে।
উল্লেখ্য ৯ জানুয়ারি বিকাল ৪টায় বাস ও সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমখি সংঘর্ষ ঘটে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলেই জকিগঞ্জ উপজেলার শাহবাগ মহিদপুর গ্রামের মৃত কুটি মিয়ার ছেলে জয়নুল ইসলাম (৩৫) ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সরস্বতি গ্রামের ইব্রাহীম আলীর ছেলে আল-আমিনের মৃত্যু ঘটে। তবে এ ঘটনায় পুলিশ সিএনজি চালকের কোন তথ্য দিতে পারেনি। ঘটনার দিন স্থানীয় লোকজন বলছিলেন সিএনজি চালকের কারণেই এ ঘটনা ঘটছে।