সোহরাওয়ার্দীতে বিশাল সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ॥ বুকের রক্ত দিয়ে হলেও জনগণের ভোটের মর্যাদা রক্ষা করব

207
একাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় উদযাপনে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আয়োজিত বিশাল বিজয় সমাবেশে হাত নেড়ে অভিবাদন জানাচ্ছেন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বাংলাদেশের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের অনেক ঘটনার সাক্ষী ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উত্তাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষসহ দলমত নির্বিশেষে পুরো দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন। তিনি বলেন, আসুন, সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেশের মানুষ আমাদের প্রতি যে আস্থা-বিশ্বাস রেখেছে, প্রয়োজনে নিজের জীবন দিয়ে হলেও জনগণের সেই আস্থা-বিশ্বাসের মর্যাদা আমরা রক্ষা করব। বুকের রক্ত দিয়ে হলেও জনগণের ভোটের মর্যাদা রক্ষা করব।
টানা তৃতীয়বারসহ চতুর্থবারের মতো ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবারও দেশ সেবার সুযোগ দেয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে দেশের জনগণ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। বিজয় পাওয়া যত কঠিন, সেটি রক্ষা করে জনগণের সেবা করা আরও কঠিন। সেই কঠিন কাজটিই আমাদের করতে হবে। দেশের জনগণ রায় দিয়েছে শান্তি ও উন্নয়নের স্বপক্ষে। অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রার জন্য রায় দিয়েছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের পক্ষে জনগণ রায় দিয়েছে।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর শনিবার বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিজয়োৎসব উপলক্ষে আয়োজিত বিশাল সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেনÑ জনগণ ভোট দিয়েছে, তাদের সেই ভোটের সম্মান যাতে থাকে সেটি অবশ্যই আমরা মাথায় রেখে সার্বিকভাবে সুষম উন্নয়ন করে যাব। নির্বাচিত প্রতিনিধি যারা তাদের এটা মনে রাখতে হবে। দেশের মানুষের আকাক্সক্ষা পূরণ করা আমাদের কর্তব্য। বিজয় পাওয়া যত কঠিন, সেটি রক্ষা করে জনগণের জন্য কাজ করা আরও কঠিন। সেই কঠিন কাজের দায়িত্ব পেয়েছি, তা পালন করতে হবে। জনগণের ভোটের সম্মান যেন থাকে সেটা আমাদের নির্বাচিতদের মনে রাখতে হবে। আমরা সুষম উন্নয়ন করে যাব, জনগণের স্বার্থে কাজ করে যাব। আমাদের ওয়াদা, বাংলাদেশকে আমরা ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্র্যমুক্ত করব। জনগণকে দেয়া আমাদের প্রতিটি প্রতিশ্রুতি পূরণ করব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তরুণদের জন্য সুন্দর বাংলাদেশ, ডিজিটাল বাংলাদেশ, আধুনিক বাংলাদেশ এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে দেশ গড়তে জনগণ রায় দিয়েছে। মানুষ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দেশ গড়ে তোলার রায় দিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা যে অঙ্গীকার করেছি সেই অঙ্গীকার অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার পক্ষে রায় দিয়েছে দেশের মানুষ। দেশের মানুষ আমাদের ভোট দিয়ে যে আস্থা-বিশ্বাস রেখেছে, যে কোন মূল্যের বিনিময়ে প্রয়োজনে নিজের জীবনের বিনিময়ে হলেও সেই মর্যাদা আমরা রক্ষা করব। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। যে কোন ত্যাগের বিনিময়ে হলেও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলবই।
এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে এ বিজয়ের সমাবেশ শুরু হয়। শুরুতেই পবিত্র কোরান তেলাওয়াত, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপিটক পাঠ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের বিজয়োৎবের বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখেন দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিম-লীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, তাঁতি লীগের খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ ও ছাত্রলীগের সভাপতি রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভন।
সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে অভিনন্দনপত্র পাঠ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা অভিনন্দনপত্রটি শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন। পুরো সমাবেশ পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। এ সময় মূলমঞ্চে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ এবং উপদেষ্টা পরিষদের অধিকাংশ নেতাই উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে বিপুলসংখ্যক নারী নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল উল্লেখ করার মতো।
বেলা আড়াইটায় বিজয় উৎসবের সময় নির্ধারণ থাকলেও সকাল ১০টা থেকেই উৎসবস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের ঢল নামতে শুরু করে। সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে জনস্রোত নামে। বেলা ১২টার মধ্যেই জনসভাস্থলসহ চারদিক লোকেলোকারণ্য হয়ে পড়ে। রাজধানীর প্রতিটি অলিগলি থেকে বাদ্য-বাজনার তালে তালে নেচে-গেয়ে বিজয়োৎসবে মাতোয়ারা হাজার হাজার নেতাকর্মী, সমর্থক আসতে থাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। নির্বাচনী প্রতীক নৌকা, জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে এবং কণ্ঠে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের সঙ্গে ঢাকঢোলের বাদ্যে মুখর হয়ে আসা লাখো মানুষকে দুপুরে গানে গানে মাতিয়ে রাখেন দেশের জনপ্রিয় শিল্পীরা ।
বেলা আড়াইটায় বিজয় সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর আগেই পুরো উদ্যান ছাপিয়ে জনস্রোত শাহবাগ থেকে টিএসসি, দোয়েল চত্বর, মৎস্য ভবন, হাইকোর্ট মাজার, কাঁটাবন, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালসহ আশপাশে এলাকাও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাপিয়ে চতুর্দিক প্রায় এক বর্গকিলোমিটার জনসমুদ্রে রূপ নেয়। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে নৌকার পক্ষে যেমন গণজোয়ার উঠেছিল তেমনি গণজোয়ারের সৃষ্টি হয়েছিল আওয়ামী লীগের বিজয়োৎসবের সমাবেশে। জনস্রোতের কারণে সকাল ১১টা থেকেই শাহবাগের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, কাঁটাবন মার্কেট মোড়, মৎস্য ভবন মোড় থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানমুখী সব রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে বাধ্য হয় আইনশৃৃঙ্খলাকারী বাহিনী।
বেলা ৩টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন নির্বাচনী প্রতীক নৌকার আদলে এবং পেছনের ব্যানারে সাজানো দলের এবারের ইশতেহারের মলাটের রঙে সুদৃশ্য ও নান্দনিক সুবিশাল মঞ্চে উপস্থিত হন তখন ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের অনেক ঘটনার সাক্ষী ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে আসার সঙ্গে সঙ্গে ইসমাইল হোসেন সম্রাটের নেতৃত্বে মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ২০ সহস্রাধিক নেতাকর্মী সুশৃঙ্খলভাবে জাতীয় পতাকার সবুজ গেঞ্জি, মাথায় ক্যাপ, হাতে জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা নাড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে স্বাগত জানায়। আরেকপাশে যুবলীগ উত্তর, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাল রঙের গেঞ্জি-টুপি পরে হাতে পতাকা নাড়িয়ে পুরো সমাবেশকেই নান্দনিক করে তোলে। বৈঠাসহ ছোট-বড় ৪০টির বেশি নৌকা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত ফেস্টুনে বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছিল সমাবেশের মাঠ।
কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঞ্চে আসার পর শুরু হয় সমাবেশের মূল আনুষ্ঠিকতা। জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও টানা দুবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের গানের তালে তালে মঞ্চে আসেন প্রধানমন্ত্রী। মমতাজ বেগম ‘শুকরিয়ারে শুকরিয়া, কোটি কোটি শুকরিয়া/ বঙ্গবন্ধুর নৌকা মার্কায় ভোট দিয়া’ গানটি দিয়ে শুরু করেন। পরপর তার তিনটি গানের সঙ্গে সুর মেলান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ জনসমুদ্রে যোগ দেয়া লাখ লাখ নেতাকর্মীও। এর পরই মঞ্চে আসেন একাদশ জাতীয় নির্বাচনী প্রচারে যে গানটি সারাদেশের মানুষকে উদ্বেলিত করে তুলেছিল, তৌহিত হোসেনের কণ্ঠে এবং সালোয়ার আলমের লেখা যে গানটি মাত্র এক ঘণ্টায় দেশের প্রায় ২০ লাখ মানুষ শুনেছেন সেই জনপ্রিয় ‘জয় বাংলা, জিতবে আবার নৌকা’ গানের শিল্পীরা।
নির্বাচনের আগে এবং বিজয়ের পরে চার শিল্পী যখন গানটি শুরু করেন, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীসহ তখন জনসমুদ্র থেকেও ‘জয় বাংলা, জিতবে আবার নৌকা’, জয় বাংলা, জিতল আবার নৌকা’ গানের সঙ্গে কণ্ঠ মেলালে পুরো উদ্যান প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। হাজার হাজার নেতাকর্মী, সমর্থক গানের তালে তালে নেচে-গেয়ে পুরো সমাবেশকে মাতিয়ে তোলেন। এছাড়া বেলা সাড়ে ১২টা থেকেই মূল মঞ্চ থেকে দেশের জনপ্রিয় শিল্পীরা একাধারে সাড়া জাগানিয়া নানা গান পরিবেশন করে সমাবেশে আসা নেতাকর্মীকে মাতিয়ে রাখেন। সমাবেশে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রফিকুল আলম, ফকির আলমগীর, জানে আলম, পথিক নবী, আঁখি আলমগীর, সালমারা গান গেয়ে শোনান। ব্যান্ড দল জলের গানও তাদের পরিবেশনা নিয়ে আসে এই উৎসবে। গানে গানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ গত এক দশকে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন কর্মকা-ের কথা তুলে ধরেন শিল্পীরা।
প্রধানমন্ত্রী বিজয় সমাবেশ থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া সব রাজনৈতিক দলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সব দল নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনকে অর্থবহ করেছে। ভোটে আসা দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। আমি বলতে চাই আওয়ামী লীগ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছে এটা সত্য। দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে ও মহাজোটকে বিজয়ী করেছে। তিনি বলেন, এই বিজয় কেবল আওয়ামী লীগের নয়, এ বিজয় স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির, এ বিজয় সকল জনগণের। বিজয় উৎসবে আসার জন্য তিনি উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনসহ পুলিশ-বিজিবি, আনসারসহ সকল সংস্থা ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশ্খৃলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি ভোটার ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদেরও ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। নিশ্চয়ই একটা কথা উপলব্ধি করেছে, ঐক্যবদ্ধ শক্তি সব সময় বিজয় অর্জন করে, এ নির্বাচনে তা প্রমাণ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় সকল রাজনৈতিক দলকে অংশগ্রহণ করে নির্বাচনকে অর্থবহ করায় ধন্যবাদ জানান। তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জয়-পরাজয় স্বাভাবিক ব্যাপার। যখন দায়িত্ব পেয়েছি জনগণের সেবা করার, দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য আমাদের সরকার সুষমভাবে কাজ করে যাবে। প্রত্যেকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করবে। রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করা হবে। আর দেশের প্রতিটি নাগরিক আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সকলের তরে, সকলের জন্য আমরা কাজ করব। তিনি বলেন, বিপুল বিজয়ের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে। তাই বর্তমান সরকার সবার জন্য কাজ করবে। সেখানে কোন দলমত দেখা হবে না। যারা ভোট দিয়েছেন বা যারা ভোট দেননি তাদের উদ্দেশে বলতে চাই- আওয়ামী লীগ সবার জন্য কাজ করবে। উন্নয়নের জন্য কাজ করবে, রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করবে।
কবি সুকান্তের কবিতার পঙক্তি উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্য শেষ করেন। বলেন ‘তবু যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাবো জঞ্জাল, এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি- নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।’