৪০০ রানের ম্যাচে ভাইকিংসের জয়

21

ক্রীড়াঙ্গন রিপোর্ট :
আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২১৪ রান সংগ্রহ করল চিটাগং ভাইকিংস। সেটি তাড়া করতে নেমে খুলনা টাইটানস থামল ১৮৮ রানে। গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ৪০০ রানের ম্যাচটিতে ২৬ রানে জিতে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে ভাইকিংস। সবমিলিয়ে পাঁচ ম্যাচে চতুর্থ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে ওঠে এল মুশফিকুর রহিমের দল।
নিজেদের ইনিংসের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিল ভাইকিংস। যদিও দলীয় ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। ১৩ বলে ১২ রান করে শরিফুল ইসলামের শিকার হয়ে ফেরেন ক্যামেরন দেলপোর্ট। এরপর ৫৬ রানে আরেক ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ আউট হন। মাত্র ১৭ বলেই তিনি করে ফেলেছিলেন ৩৩ রান।
পরের ব্যাটসম্যানরাও রান তুলেছেন ১৫০ স্ট্রাইকরেটের ওপর। তৃতীয় উইকেটে ইয়াসির আলীর সঙ্গে ৮৩ রানের জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম। দলীয় ১৩৯ রানে ইয়াসির আলীর আউটে ভাঙে এ জুটি। ফেরার আগে ৩৬ বলে পাঁচ চার আর তিন ছক্কায় তিনি করেন ৫৪ রান। অধিনায়ক মুশফিকও তুলে নেন ফিফটি। ডেভিড ওয়েসের শিকার হওয়ার আগে ৩৩ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৫২ রান। আট চার আর এক ওভার বাউন্ডারিতে ইনিংসটি সাজান তিনি।
এরপর ঝড় তোলেন দানুশ শানাকা-নাজিবুল্লাহ জাদরান। মাত্র ১৪ বলে ৪৪ রান তুলেন এই জুটি। এর মধ্যে শুভাশিষ রায়ের করা ইনিংসের শেষ ওভারেই তারা নিয়েছেন ২৩! ১৭ বলে ৪২ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন শানাকা। তিন বাউন্ডারির সঙ্গে মেরেছেন চারটি ওভার বাউন্ডারি। জাদরানের উইলো থেকে আসে ৫ বলে ১৬ রান।
তাদের ব্যাটে এবারের বিপিএলে প্রথম দুশো ছাড়ানো ইনিংস উপহার দেয় ভাইকিংস। ২১৪ রানের ইনিংসটি বিপিএলের ছয় আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয়। এর আগে ২০১৩ সালে রংপুরের রাইডার্সের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ২১৭ রান তুলেছিল ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস।
লক্ষ্যটা বড় ছিল। সে হিসেবে শুরুটা যেমন হওয়া দরকার তেমন হয়নি খুলনার। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আউট হন পল স্টারলিং। ১৫ রানের মাথায় ফেরেন আল আমিন। দুই উইকেটই গেছে পেসার আবু জায়েদ রাহির পকেটে। তিন রান বাদে জুনায়েদ সিদ্দিকীকে তুলে নিয়ে টাইটানসের বিপদ বাড়ান খালেদ আহমেদ।
চতুর্থ উইকেটে ব্রেন্ডন টেলরকে নিয়ে ৬৮ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কাটা কাটিয়ে ওঠেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যক্তিগত ২৮ রানে নাঈম হাসানের বলে টেলর বোল্ড হলে ভাঙে এ জুটি।
টাইটানসের আশার প্রদীপ হয়ে জ্বলছিলেন রিয়াদ। কিন্তু ২৫ বলে ফিফটি করার পরপরই আউট হয়ে যান দলীয় অধিনায়ক। সঙ্গে সঙ্গে টাইটানসের জয়ের আশাও মিইয়ে যায়। ডেভিড ওয়েস (২০ বলে ৪০) আর তাইজুল (২১ বলে ২ ) কেবল হারের ব্যবধানটাই কমিয়েছেন যা। নির্ধারিত কুড়ি ওভার ব্যাট করেও ৮ উইকেটে ১৮৮ রান বেশি তুলতে পারেনি টাইটানস। বিপিএলে সাত ম্যাচে এটি তাদের ষষ্ঠ পরাজয়। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতেই থাকল তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চিটাগং ভাইকিংস: ২০ ওভারে ২১৪/৪ (শাহজাদ ৩৩, ইয়াসির আলী ৫৪, মুশফিক ৫২, শানাকা ৪২*, জাদরান ১৬* ডেভিড ওয়েস ২/২৬, তাউজুল ১/৪৫)
খুলনা টাইটানস : ২০ ওভারে ১৮৮ /৮ (জুনায়েদ ১২, টেলর ২৮, মাহমুদউল্লাহ ৫০, ওয়েস ৪০; জায়েদ ৩/৩৩, খালেদ ২/২৯, ডেলপোর্ট ২/২৫)
ফল: চিটাগং ভাইকিংস ২৬ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: মুশফিকুর রহিম (চিটাগং)