দুর্দান্ত জয় পেল রাজশাহী কিংস

33

স্পোর্টস ডেস্ক :
শেষ ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে জয় পেল রাজশাহী কিংস। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে রবিবার দিনের প্রথম ম্যাচে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল রংপুর রাইডার্সকে ৫ রানে হারিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের রাজশাহী কিংস। চার ম্যাচে রাজশাহীর এটি দ্বিতীয় জয়। অন্যদিকে, পাঁচ ম্যাচে রংপুরের এটি তৃতীয় হার। বাকি দুই ম্যাচে জিতেছে তারা।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে রাজশাহী কিংসের দেয়া ১৩৬ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩০ রান করতে সক্ষম হয় রংপুর রাইডার্স। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন রাইলি রুশো। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন মোহাম্মদ মিথুন। রাজশাহী কিংসের পেসার মোস্তাফিজুর রহমান কোনো উইকেট না পেলেও তিনিই জয়ের নায়ক। চার ওভারে ১৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন তিনি। উইকেটশিকারি বোলারদের মধ্যে কামরুল ইসলাম রাব্বী ২টি, ইসুরু উদানা ১টি ও মোহাম্মদ হাফিজ ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল ৯ রান। তাদের হাতে ছিল চার উইকেট। ক্রিজে ছিলেন রাইলি রুশো ও ফরহাদ রেজা। বোলিংয়ে ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন রুশো। এরপর টানা তিন বলে কোনো রান নিতে পারেননি ফরহাদ রেজা। পঞ্চম বলে লেগবাই সূত্রে এক রান নেন ফরহাদ। শেষ বলে এক রান নিতে সক্ষম হন রুশো।
সবাইকে অবাক করে দিয়ে আজ ক্রিস গেইলের সঙ্গে ওপেনিং করতে নামেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। কিন্তু রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। কামরুল ইসলাম রাব্বীর করা ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
গত দুই ম্যাচে ব্যর্থ ক্রিস গেইল হাত খুলে মারার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু বেশি দূর যেতে পারেননি। ১৪ বলে ২৩ রান করে ফিরতে হয় তাকে। তৃতীয় ওভারে রাব্বীর বলে সৌম্যর হাতে ক্যাচ হন গেইল। এরপর দলের হাল ধরেন মিথুন ও রুশো। দলীয় ৭১ রানে হাফিজের বলে ইভান্সের হাতে ধরা পড়েন মিথুন।
দলের রান যখন ৮৪ তখন হাফিজের বলে বোল্ড হন বোপারা। দলীয় ৯৩ রানে রান আউট হন বেনি হাওয়েল। ১৯তম ওভারে ইসুরু উদানার বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ হন নাহিদুল ইসলাম।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী কিংস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন জাকির হাসান। এজন্য তিনি বল খেলে ৩৬টি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন মোহাম্মদ হাফিজ। রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা চার ওভারে ২২ রান দিয়ে দুইটি উইকেট নেন। চার ওভারে ১৯ রান দিয়ে এক উইকেট নেন শফিউল ইসলাম। দুই ওভারে ১৭ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন ফরহাদ রেজা। এছাড়া সোহাগ গাজী নেন এক উইকেট।
রাজশাহী ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে অধিনায়ক মিরাজকে ফেরান মাশরাফি বিন মর্তুজা। এক বল খেলে শূন্য রান করেন মিরাজ। পঞ্চম ওভারে সোহাগ গাজীর বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হন অপর ওপেনার মুমিনুল হক। ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে এসে সৌম্য সরকারকে ফেরান রংপুরের অধিনায়ক মাশরাফি।
এরপর ৫৪ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ হাফিজ ও জাকির হাসান। দলীয় ৯০ রানে রান আউট হন হাফিজ। ১৬তম ওভারে রবি বোপারার হাতে ক্যাচ বানিয়ে লরি ইভান্সকে ফেরান ফরহাদ রেজা। ১৮তম ওভারে রান আউট হন রায়ান টেন ডেসকাট। ১৯তম ওভারে উদানাকে ফেরান ফরহাদ রেজা। ২০তম ওভারে আরাফাত সানিকে আউট করেন শফিউল ইসলাম। ম্যাচ সেরা হন রাজশাহী কিংসের জাকির হাসান।