মন্ত্রী সভা যে এমন হবে আগেই মনে করেছিলাম – ওবায়দুল কাদের

133

কাজিরবাজার ডেস্ক :
জ্যেষ্ঠ ২৫ মন্ত্রীসহ আগের মন্ত্রী সভার ৩৬ জন সদস্য বাদ পড়া নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তুলেছেন সরকার ও দলকে আলাদা রাখার বিষয়টি নিয়ে।
সোমবার নতুন মন্ত্রী সভার শপথের পর বঙ্গভবনে সাংবাদিকদের ক্ষমতাসীন দলের নেতা বলেন, আমাদের সরকারের মধ্যে দলটা হারিয়ে যাক, আমরা চাই না। সেখানে সরকার আর দলের যে আলাদা সত্ত্বা আছে, সেটা রাখতে হলে রেসপন্সিবল লিডারদের একটা অংশকে দলের দায়িত্বে রাখতে হবে।
কারও হারানোর কিছু নাই। নোবডি ইজ গোয়িং টু লুজ এনিথিং। আমার মনে হয় এটা দায়িত্বের পরিবর্তন, দায়িত্বের রূপান্তর।
প্রবীণ ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ দেয়া হয়নি, দলকে আরও স্ট্রংগার (শক্তিশালী) ও স্মার্টার (দক্ষ) করতেই তাদের দায়িত্ব অন্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অন্য এক প্রশ্নে কাদের জানান, মন্ত্রিসভার যে চেহারা হয়েছে, সেই ইঙ্গিত তিনি আগেও পেয়েছিলেন। বলেন, আমার কাছে আগেই মনে হয়েছিল, এমন কিছু হবে। আমার লিডারের সঙ্গে কথা বলেই এমনটা মনে হয়েছিল।
দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে মাঝপথে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হবে বলেও জানান আওয়ামী লীগ নেতা।
নতুন যে সরকার গঠন হয়েছে তার মধ্যে আগের সরকারে নয় জন প্রতিনিধি আছেন। আর দুই মেয়াদে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন কেবল ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, কেউ বাদ পড়েছেন এটা আমি বলব না। কেউ সরকারে দায়িত্ব পালন করবেন, কেউ আরও বেশি করে দলের দায়িত্ব পালন করবেন।
জোটসঙ্গীদের কাউকে নতুন সরকারে না রাখার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা সবাই একসঙ্গেই তো আছি। ১৪ দল আমাদের সঙ্গে আছে। এখন মন্ত্রী থাকা না থাকার উপর তো আমাদের অ্যালায়েন্স ভেঙে গেছে, এটা বলা যাবে না।’
‘শরিকেরা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। মন্ত্রী না হলে তারা থাকবেন না, এমন নয়। সময়ে সময়ে চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তনও হতে পারে মন্ত্রিসভা। শরিকেরা এখন নেই, ভবিষ্যতে আসবে না এমন নয়।’
‘মন্ত্রী তো পাঁচ বছরের ব্যাপার, মাঝে মাঝে এক্সপাংশন হবে, রিশাফল হবে, এর মধ্যে অনেকে যাবেন। আবার ভালো পারফর্মেন্স না থাকলে মাঝপথেও বিদায় নিতে হবে।’