শপথে ৯৯ শব্দ পড়েন প্রধানমন্ত্রী

51

কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা হয় যে কয়টি বাক্য উচ্চারণের মাধ্যমে, সেটি গঠিত ৫২টি শব্দ দিয়ে। তবে এ সময় উচ্চারণ করতে হয় যার যার নাম, যেটি শপথবাক্যে থাকে না।
এর বাইরে গোপনীয়তার আরেকটি শপথ পড়েন মন্ত্রী সভার সদস্যরা। এতে আছে ৪৭টি শব্দ।
সোমবার এই দুই ধরনের শপথ বাক্য উচ্চারণের মধ্য দিয়েই যাত্রা শুরু হয় নতুন সরকারের। প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী সভার ৪৭ জন সদস্যই দুই ধরনের শপথ পড়েন। এরপর তারা শপথের বইয়ে সইও করেন।
রীতি অনুযায়ী প্রথম শপথ পড়েন প্রধানমন্ত্রী হতে যাওয়া সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা। চতুর্থ বারের মতো শপথ পড়ে প্রধানমন্ত্রী হলেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা।
এরপর ২৪ জন পূর্ণ মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রী সভার অন্য সদস্যদের শপথবাক্যে পার্থক্য একেবারেই সামান্য।
প্রধানমন্ত্রীর শপথে যা আছে
‘আমি …(শেখ হাসিনা) সশ্রদ্ধ চিত্তে শপথ করিতেছি যে, আমি আইন অনুযায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী পদের কর্তব্য বিশ্বস্ততার সহিত পালন করিব। আমি বাংলাদেশের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ও আনুগত্য পোষণ করিব। আমি সংবিধানের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান করিব এবং আমি ভীতি বা অনুগ্রহ, অনুরাগ বা বিরাগের বশীভূত না হইয়া সকলের প্রতি আইন অনুযায়ী যথাবিহিত আচরণ করিব।’
গোপনীয়তার শপথ
‘আমি …(শেখ হাসিনা) সশ্রদ্ধ চিত্তে শপথ করিতেছি যে, সরকারের প্রধানমন্ত্রী রূপে যেসকল বিষয় আমার নিকট বিবেচনার জন্য আনীত হইবে, বা যেসকল বিষয় আমি অবগত হইব, তাহা প্রধানমন্ত্রী রূপে যথাযথভাবে আমার কর্তব্য পালনের প্রয়োজন ব্যতীত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো ব্যক্তিকে জ্ঞাপন করিব না। বা কোনো ব্যক্তির নিকট প্রকাশ করিব না।’ মন্ত্রীর শপথে কেবল প্রধানমন্ত্রীর বদলে মন্ত্রী শব্দটি যুক্ত থাকে।