মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজার-৩ (মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর) আসনে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের পুত্র সাবেক এমপি নাসের রহমানের গাড়িসহ ৭টি গাড়ি ভাংচুর ও প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে মৌলভীবাজার পৌরসভার সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।
২৮ ডিসেম্বর শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে সদর উপজেলার বাহারমর্দন্থ নিজ বাড়িতে প্রেস বিফ্রিং করে এ অভিযোগ করেন নাসের রহমান। প্রেস বিফ্রিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন নির্ভরযোগ্য গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত ৯টায় মৌলভীবাজার পৌরসভায় উপস্থিত হয়ে দ্বিতীয় তলায় মেয়রের অফিস কক্ষে কয়েক বস্তায় ব্যালট রয়েছে এই মর্মে চ্যালেঞ্জ করেন এবং এ গুলো খুলে দেখানোর জন্য বলেন।
এ সময় ইতস্ত হয়ে মেয়র তড়িগড়ি করে তাকে উপরের কক্ষে যেতে না দিয়ে নীচ তলায় কাউন্সিলর কক্ষে বসান। তখন উপরে লোকজনের দৌড়ঝাঁপের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। নাসের রহমান বলেন এমন খবর পেয়ে আমি পুলিশ সুপারকে মুঠোফোনে অবগত করেছিলাম পৌরসভায় কালো কয়েকটি বস্তায় ব্যালট পেপার আনা হয়েছে নৌকায় সিল মারার জন্য। আমি সেখানে আছি বলে পুলিশ পাঠানোর অনুরোধ জানান। পুলিশ আসতে সময়ক্ষেপণ করায় মেয়রের নির্দেশেই যুবলীগ ছাত্রলীগের ক্যাডাররা বস্তা ভর্তি ব্যালট সরিয়ে নেয়। তিনি জানান, প্রায় ৫০ হাজার ব্যালেট নৌকা প্রার্থীর পক্ষে ব্যালট বক্সে ঢুকানোর পরিকল্পনা হিসেবে এই কাজটি করা হচ্ছিল।
তিনি আরো বলেন এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম কয়েকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে তিনি সেনাবাহিনীকে বিষয়টি জানান। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে আইন শৃংখলা বাহিনীর কোন সদস্য না আসায় তিনি পৌরসভা থেকে বের হয়ে তার গাড়িতে উঠতে গেলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা তার গাড়ির ভেতর কালো টাকা রয়েছে বলে তার গাড়িসহ সাথে থাকা সাবেক পৌর মেয়র ফজলুল করিম ময়ূন ও সাবেক এমপি বেগম খালেদা রব্বানির গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
পরে পুলিশের সামনেই সরকার দলীয় নৌকার কর্মী সমর্থকরা শহরে মিছিল করে সিলেট সড়কের মাছের আড়তের পাশে অবস্থিত ধানের শীষের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ সহ আরো ৫টি গাড়ি ভাংচুর করে।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান জানান, ধানের শীষের প্রার্থী নাসের রহমান রাতে পৌরসভায় এসেছিলেন। ওই সময় তিনি তার দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে মিটিং করছিলেন। মেয়র বলেন ব্যালট পেপার তার অফিসে আসার কথা নয়, এটি প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে থাকার কথা। নাসের রহমানের গাড়ি ও অফিস ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের বিষয়টি অস্বীকার বলেন এটি বিএনপির পরিকল্পিত সাজানো ঘটনা।
