আগামী নির্বাচনে জয়ী হলে কোন মানুষ দরিদ্র থাকবে না – শেখ হাসিনা

24
ফাইল ছবি

কাজিরবাজার ডেস্ক :
জনগণের ভাগ্য গড়াটাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে আওয়ামী লীগ। আগামী নির্বাচনে আমরা জয়ী হলে কোনো মানুষ দরিদ্র থাকবে না। কামরাঙ্গীরচরের নির্বাচনী জনসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেছেন।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের জন্য কাজ করেছে, আরও কিছু কাজ বাকি আছে। এগুলো সম্পন্ন করার জন্য আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে।
তিনি উল্লেখ করে বলেন, বিএনপির আমলে লোডশেডিংয়ে সারা দেশে অসহনীয় অবস্থা তৈরি হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াতের এমপিরা জনগণের রোষের মুখে পড়েছিল। তাদের এক এমপির নামই হয়ে গেছিল দৌড় সালাহউদ্দিন। এলাকায় পানি না পেয়ে লোকজন তাকে তাড়া করেছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পানির সমস্যা নেই, বিদ্যুতের সমস্যা নেই। গ্রাম পর্যায়ে পর্যন্ত আমরা বিদ্যুৎ দিয়ে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় এলে পুরো ঢাকা শহর ঘিরে এলিভেটেড রিং রোড তৈরি করা হবে, ঢাকা শহরে পাতাল রেল নির্মাণ করা হবে, ঢাকা শহরের চারপাশের নদী খনন করে নাব্য ফিরিয়ে আনা হবে, যারা খাল দখল করছে তাদের দখল কাজ বন্ধ করা হবে।
জনসভার ভাষণে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীদের নৌকা মার্কায় ভোট দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া মহাজোটের যেসব প্রার্থী লাঙল মার্কায় নির্বাচন করছে তাদেরকে লাঙল মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেন, আমরা ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করব, ২০২০ সালে আমরা জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী পালন করব। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ। আর ২১০০ সালে এই বাংলাদেশ বিশ্বে একটা সম্মানিত দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে, বাংলাদেশ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হবে। সেই সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে জনসভা সঞ্চালন করেন সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। এছাড়া ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণ এলাকার অন্তর্ভুক্ত ৮টি সংসদীয় আসনে মহাজোট ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা সভা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ৮টি আসনের প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দেন।