১৯ দফা অঙ্গীকার নিয়ে বিএনপির ইশতেহার ঘোষণা

41

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে উপলক্ষ্য করে ১৯টি অঙ্গীকার নিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির ইশতেহার ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ‘এগিয়ে যাব একসাথে, ভোট দেবো ধানের শীষে’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ১৯ দফা সম্বলিত ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।
ইশতেহারে বলা হয়, বিডিআর হত্যাকাণ্ড এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি সংক্রান্ত সকল অনুসন্ধান রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর চলাচলের সময় যেন সাধারণ মানুষের কোনও ভোগান্তি না হয় সে জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব প্রতিবছর প্রকাশ করা হবে।
একনজরে বিএনপির ইশতেহার :
১. বিএনপি গণতন্ত্রকে নিত্যদিনের চর্চার বিষয়ে পরিণত করবে।
২. সংবিধানে সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনবে।
৩. একাধারে পরপর দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না করার বিধান করা হবে।
৪. মন্ত্রিসভাসহ প্রধানমন্ত্রীকে সংসদের কাছে দায়বদ্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
৫. বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ দেয়া হবে।
৬. সংসদ সদস্যদের স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করা হবে।
৭. বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে যুক্ত করে সংসদে উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হবে।
৮. গণভোট ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়া হবে।
৯. বাংলা ভাষাসহ অন্যান্য বিদেশি ভাষা শেখার জন্য অধিকতর সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।
১০. স্বল্পসুদে শিক্ষাঋণ চালু করা হবে।
১১. বিদেশের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণে মেধাবীদের সাহায্য প্রদানে তহবিল গঠন করা হবে।
১২. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেয়া হবে।
১৩. মাদ্রাসা শিক্ষাকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হবে। তাদের কারিকুলামে পেশাভিত্তিক ও বৃত্তিমূলক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
১৪. মসজিদের খতিবদের জন্য সম্মানজনক সম্মানি ভাতা চালু করা হবে।
১৫. প্রশ্নফাঁস বন্ধে আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৬. শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে সকল ভ্যাট বাতিল করা হবে। ভ্যাট বিরোধী, কোটা সংস্কার আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রছাত্রীদের সকল মামলা প্রত্যাহার ও ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।
১৭. গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা হবে।
১৮. পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষা ব্যবস্থা বিলোপ করা হবে।
১৯. প্রথম তিন বছরে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে দুই লাখ মানুষকে চাকরি দেয়া হবে।
২০. তরুণ দম্পতি ও উদ্যোক্তাদের জন্য ২০ বছর মেয়াদী ঋণ চালু করা হবে।
২১. আগামী ৫ বছরে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করা হবে।
২২. শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান করা হবে। যোগ্য অর্থনৈতিক উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।