আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসা নয়, উন্নয়নে বিশ্বাসী – ড. মোমেন

30
গণসংযোগকালে ভোটারদের সাথে আলিঙ্গন করছেন নৌকার প্রার্থী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

সিলেট-১ আসনে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী, জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও কূটনীতিবিদ ড. এ.কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ^াস করে না। আওয়ামী লীগের শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার রাজনীতিতে বিশ^াসী। এর প্রমাণও দিয়েছে বিগত সময়ে। বিশেষ করে গত ৫ বছরে করা সিলেট নগরীর উন্নয়ন কাজ এর প্রত্যক্ষ প্রমাণ। বিরোধীদলের মেয়র থাকার পরেও বর্তমান সরকার যে পরিমান অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে বিএনপি সরকারের আমলে এ রকম বরাদ্দের কোনো নজির তারা দেখাতে পারবে না। অথচ এসব উন্নয়ন নিয়েও এখন মিথ্যাচার করা হচ্ছে, বিভ্রান্ত করা হচ্ছে জনগণকে।
শুক্রবার সিলেট নগরী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ, পথসভা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু অপপ্রচারকারীরা জানেন না যে, অপপ্রচার চালিয়ে সিলেটবাসীকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। কোনোভাবেই ঠেকানো যাবে না নৌকার বিজয়।
সকাল ৯টায় সিলেট নগরীর ১৭নং ওয়ার্ডের কাজীটুলা ও লোহারপাড়া এলাকায় গণসংযোগ, ১১টায় চৌহাট্টায় বুদ্ধিজীবি শহীদ মিনারে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, দুপুরে সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কান্দিরপথ জামে মসজিদে জুমআর নামাজ আদায় ও এলাকায় গণসংযোগ, বিকাল ৩টায় সাহেববাজারে খাদিমনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাচনি জনসভায় যোগদান, বিকাল ৪টায় হাউজিং এস্টেট এলাকায় গণসংযোগ, সন্ধ্যা ৬টায় সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাও ইউনিয়নের মিরেরগাও, রাত ৮টায় সিলেট নগরীর ৮নং ওয়ার্ডের করেরপাড়া পয়েন্টে পৃথক নির্বাচনী জনসভায় অংশগ্রহণ করেন ড. মোমন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক আব্দুল হাই শিবলী, বিএমএ সিলেট’র সাবেক সভাপতি ডা. এ.কে.এম হাফিজ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, যুগ্ম সম্পাদক ফয়জুল আনোয়ার আলাউর, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও এ.টি.এম হাসান জেবুল, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, অধ্যাপক সুনীল কুমার দেব নীল, কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় নেতা শামীমা শাহরিয়ার, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিল ও মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রনজিত সরকার, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলার জগদীশ দাশ, সিলেট জেলা পরিষদ সদস্য মো. শাহনুর, মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক জুবের খান, মুহাম্মদ আলী গোলাম, ডা. আরমান আহমদ শিপলু, মহানগর শ্রমিকলীগের সভাপতি এম. শাহরিয়ার কবির সেলিম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট’র সাবেক কমান্ডার মীর্জা জামাল পাশা, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াস, মহানগর যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি সুদীপ দে, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মাছুম বিল্লাহ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট নূরে আলম সিরাজী, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা প্রিন্স সদরুজ্জামান প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি