ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দল নির্বাচন থেকে যেন সরে না দাঁড়ায় -ওবায়দুল কাদের

24

কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেশ, জনগণের স্বার্থ বিবেচনা করে কোনো অজুহাতেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট যেন নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ায় সে আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, ‘ওয়ান সাইডেড গেম হোক, ওয়ান সাইডেড ম্যাচ হোক সেটা আমরা চাই না।’
সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডেমোক্রেসি হচ্ছে দুই চাকার বাইসাইকেল। এখানে কে অপজিশন হবে সেটা পিপল ডিসাইড করবে। আমরা ফাঁকা মাঠে গোল দেব এমন ইচ্ছা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পোষণ করেন না। আমি আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে প্রতিপক্ষ দলগুলোকে এবং দেশবাসীকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করতে চাই।’
২০ দলীয় জোটের অভিযোগের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অলি আহমেদ সাহেবের সঙ্গে সম্ভবত গতকালই আমার মোবাইলে কথা হয়েছে। তিনি প্রশাসনিকভাবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ব্যাপারে কিছু কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেছিলেন। আমি তখনই তাকে বলেছি, দেখুন এখন তো পুলিশ প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তারপরও বর্তমান সরকারের একজন মন্ত্রী হিসেবে, রুলিং পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে আমি চেষ্টা করব কোনোভাবেই যেন আপনার এলাকায় লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড ক্ষুণ্ন না হয়। আমি এ ব্যাপারে কথা বলেছি। আমরা যেহেতু সরকারে আছি নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করতে হবে। আমি সেখানে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি।’
কাদের বলেন, তার নির্বাচনী আসনে বিএনপি প্রার্থী মওদুদ আহমদের হলফনামায় ত্রুটি থাকার পরও তিনি একান্তভাবে চেয়েছিলেন প্রতিপক্ষের প্রার্থিতা বহাল থাকুক। তিনি বলেন, ‘খুব নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে আমাকে জানানো হয়েছিল মওদুদ আহমদ সাহেবের মনোনয়ন দাখিলে কিছু ‘ঘাপলা’ আছে। কিন্তু আমি চেয়েছিলাম তিনি নির্বাচন করুক। না হলে নির্বাচন তো জমবে না। ওখানে কার সঙ্গে ইলেকশন করব? আমার কিন্তু এই মানসিকতা কাজ করে।’
১৩ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত হাজী সেলিম কীভাবে নির্বাচন করছেন- এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, ‘হাজী সেলিম ১৩ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত। তিনি নির্বাচনী লডাইয়ে টিকে গেছে। এখানে আওয়ামী লীগেরও সন্দেহ ছিল তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। তাই ওই আসনে দুইজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনী আইনে তিনি টিকে গেছেন, এখানে তো আমাদের কিছু করার নেই।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মনোনয়ন বাতিল একান্তই নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এটি সরকারের এখতিয়ারের বাইরে। তাই যদি না হতো তাহলে আমাদের সবচেয়ে বড় শরিক জাতীয় পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি কি বাদ পড়তেন?’