প্রবাসী নিখোঁজের দেড় বছর পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন

29

জৈন্তাপুর থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জ- জগন্নাথপুর পৌর এলাকার নিখোঁজ লন্ডন প্রবাসী আব্দুল গফুরের লাশ আদালতের নির্দেশে কবর উত্তোলন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ওই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহ জনক ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
আব্দুল গফুর ২০১৭ সালে পরিচয় হয় আবুল কালাম আজাদের সাথে। ২০১৭ সালের ৮ মে তার সাথে থাকা আবুল কালামের ব্যাবরূত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আব্দুল গফুর তার বন্ধু নূরুল হক কে দরগা মহল্লার হোটেল রাজমনীতে আসার অনুরোধ করেন। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ হয়। তার ভাতিজা লাল মিয়া ওই মোবাইল নম্বর উল্লেখ করে জগন্নাথপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। জগনাথপুর থানার পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ২৫ নভেম্বর ২০১৮ জগন্নাথপুর থানার এইআই হাবিবুর রহমান’র নেতৃত্বে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে আটক করেন। আটককৃতরা জৈন্তাপুর সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্রের অফিস সহায়ক আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, মোকাম টিলার জুনাব আলী। তাদের দেওয়া স্বীকাররোক্তিতে পুলিশ হোটেল রাজমনী থেকে নিহতের ব্যাগ উদ্ধার করেন এবং শিক্ষক আনোয়ার’র বাড়ি থেকে পাসপোর্ট উদ্ধার করেন। এলাকার লোকজন হত্যাকান্ডে জুনাব আলীর কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে উল্লেখ্য করে ঘটনার মূল হোতা আবুল কালাম আজাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন টাকার লোভে আবুল কালাম আজাদ প্রবাসী আব্দুল গফুর কে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খৃষ্টফার হিমেল রিছিল’র উপস্থিতিতে নিহত গফুরের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত জৈন্তাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুনতাসির হাসান পলাশ, নিজপাট ইউপি চেয়ারম্যান মনজুর এলাহী স¤্রাট, ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির, জৈন্তাপুর মডেল থানা ও জগন্নাথপুর থানার বিপুল সংখ্যক পুলিশ। নিহতের লাশ কবর থেকে উত্তোলনের সময় ছিল উৎসুক জনতার ভিড়।